Dhupguri: শিশুদের চিকিৎসা মহিলা বিভাগে! প্রকাশ্যে মহকুমা হাসপাতালের বিপন্নতা
Dhupguri: শিশু বিভাগের পরিবর্তে চিকিৎসা করাতে আসা শিশুরা দের ভর্তি করা হচ্ছে মহিলা বিভাগে। একটা অংশ চিকিৎসা করা মনে করছেন শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই কম বয়স্কদের তুলনায়।যার কারণে খুব সহজে তাদের শরীরে রোগ ব্যাধি আক্রমণ করতে পারে।

জলপাইগুড়়ি: মহকুমা হাসপাতালে মর্যাদা পেয়েছে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল , বদলে গিয়েছে হাসপাতালের বোর্ড, তবে এখনও গড়ে ওঠেনি পরিকাঠামো। বেহাল পরিষেবা ধূপগুড়ি মহকুমা হাসপাতালের।
বর্তমানে মহকুমা হাসপাতালে শিশু বিভাগ বন্ধ, তাই শিশুর রোগীদের রাখা হচ্ছে মহিলা বিভাগে।অবিশ্বাস্য হলেও এমনই ছবি ধরা পড়ে ধূপগুড়ি মহকুমা হাসপাতালে, জানিয়ে এই তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
ধূপগুড়ি মহকুমা হাসপাতাল ২০২৪ সালে নির্দেশিকা জারি হয় মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগের। তবে এখনও কাজে যোগ দেয়নি ১৮ জন নার্স আসেননি তিনজন চিকিৎসক। স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশিকার পরেও কেন কাজে যোগদান করেননি তাঁরা, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। তার মধ্যে মহকুমা হাসপাতালের মর্যাদা পেলেও এখনও অপারেশন চালু হয়নি, সিজার চালু হয়নি এমনকি ব্লাড ব্যাঙ্কও চালু হয়নি, যার কারণে ক্ষুব্ধ ধূপগুড়ি মহকুমা নাগরিক মঞ্চ। আবারও আন্দোলনের নাম আর হুমকি দিয়েছেন তাঁরা।
নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, শিশু বিভাগ বন্ধ রেখে শিশুদের মহিলা বিভাগে ভর্তি করায়। মহিলা বিভাগে ভর্তি রয়েছেন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীরা। আর তাঁদের মাঝে রাখা হয়েছে জ্বর সর্দি কাশি-সহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত শিশুদেরকেও। যা কোনওভাবেই করা উচিত না বলে দাবি চিকিৎসক মহলের।
যেখানে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত মহিলারা ভর্তি হচ্ছেন, সেখানে কীভাবে ভর্তি রাখা হচ্ছে খুদে শিশুদেরকে। প্রশ্ন তুলছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি। আশঙ্কা তৈরি হয়েছে যে কোনও সময় হাসপাতালে মহিলা বিভাগে ভর্তি থাকা অন্যান্য রোগীদের রোগ শিশুদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
সুস্থ হতে এসে অন্য রোগ দিয়ে বাড়ি ফিরতে পারেন চিকিৎসা করাতে আসা খুদে শিশুরা এমনই দাবি বিজেপি-এর। একই আশঙ্কা করছেন রোগীর পরিজনরাও। জানিয়ে প্রশ্নের মুখে স্বাস্থ্য দফতরের ভূমিকা। সূত্রের খবর যে ঘরটি শিশু বিভাগ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সেই শিশু বিভাগে বর্তমানে লাইগেশন করা রোগীদের সেখানে রাখা হয়। সপ্তাহে একদিন করে হাসপাতালে লাইগেশন করা হয়। যার করে সে বিভাগে শিশুদের বর্তমানে রাখা হচ্ছে না।
তাই শিশু বিভাগের পরিবর্তে চিকিৎসা করাতে আসা শিশুরা দের ভর্তি করা হচ্ছে মহিলা বিভাগে। একটা অংশ চিকিৎসা করা মনে করছেন শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই কম বয়স্কদের তুলনায়।যার কারণে খুব সহজে তাদের শরীরে রোগ ব্যাধি আক্রমণ করতে পারে।
গোটা বিষয়টি নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপির ধূপগুড়ি বিধানসভার আহ্বায়ক চন্দন দত্ত বলেন, “লোক দেখানো ঘোষণা করে চমক দিতে চেয়েছে শাসক দল। মহকুমা হাসপাতালের বোর্ড ধরল এখনও পরিকাঠামো কিছুই নেই। যার কারণে মহিলা বিভাগে শিশুদের রাখা হচ্ছে। যেটা চিন্তার বিষয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রী খোদ মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। তার দফতরের হাসপাতালের বেহাল অবস্থা। যেভাবে শিশু বিভাগ বন্ধ এবং শিশু দের মহিলা বিভাগে রাখা হচ্ছে তাতে যেকোনও সময় বড় কোন রোগের সংক্রমণ হতে পারে শিশুরা । দ্রুত স্বাস্থ্য দফতরের বিষয়টি দেখা উচিত। ”
রোগীর আত্মীয় স্বপন সরকার বলেন, ” আমার শিশুর সর্দি হয়েছে তাই তাকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। তবে শিশু বিভাগে না রেখে মহিলা বিভাগে ভর্তি রেখেছে। আমরা চিন্তায় পড়েছি আচ্ছা আর ভাল করতে গিয়ে খারাপ না হয়ে যায়। বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই কম থাকে। যেভাবে মহিলা বিভাগে অন্যান্য রোগে আক্রান্ত রোগীদের সঙ্গে রাখা হয়েছে। তাতে অন্য রোগ শিশুদের শরীরে না ছড়িয়ে পড়ে। ”
ধূপগুড়ি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অঙ্কুর চক্রবর্তী বলেন, “শিশু বিভাগ পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়েছে এমনটা নয়। এখন মহিলা বিভাগ ফাঁকা থাকে তখন শিশুদের সেখান থেকে এনে রাখা হয় মহিলা বিভাগে। আবার অনেক সময় লাইগেশনের দিন প্রচুর মহিলা রোগের সংখ্যা বেড়ে যায় তখন শিশু বিভাগে রাখা হয়। তখন আবার শিশু বিভাগের শিশুদের অন্যত্র সরিয়ে আনতে হয়। তাই শিশুদেরকে মহিলা বিভাগে রাখা হয়েছে। অন্য রোগের থেকে শিশুদের শরীরে রোগ ছাড়াবে এমন কোন সম্ভাবনা নেই। কারণ তেমন কোনও সংক্রমণ হাসপাতালে নেই। ”





