
জলপাইগুড়ি: ঘরে মেরামতির কাজ হচ্ছিল। রাজমিস্ত্রি ও ঠিকা কর্মীরা কাজ করছিলেন। গর্ত খুঁড়ে একপাশে মাটি জড়ো করে রাখা ছিল। সকালে বাড়ির দরজা খুলতেই একটা অন্যরকম শব্দ কানে এসেছিল গৃহকর্তার। তিনি প্রথমে বিষয়টি বুঝতে পারেননি। কিন্তু শব্দটা ক্রমাগত জোরালো হতে থাকে। মাটির কাছে যেতেই ঘাবড়ে যান গৃহকর্তা। একেবারে ফণা তুলে বসে ফোঁস ফোঁস করছে একটি সাত ফুটের সাপ। ঘাবড়ে আগে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করেন তিনি। ততক্ষণে খবর ছড়িয়ে পড়ে রাজমিস্ত্রি কর্মীদের মধ্যেও। আতঙ্কে তাঁরাও ওই এলাকা থেকে সরে যান। পরে খবর যায় সর্প বিশেষজ্ঞদের কাছে। ধূপগুড়ি কলেজপাড়ার বাসিন্দা অজিত কুমার দাসের বাড়ি থেকে সাপ উদ্ধার হয়।
অজিত কুমারের বাড়িতে কয়েকজন শ্রমিক কাজ করছিলেন। ঘরের দরজার পাশে আলু রাখার জন্য মেরামতি করছিলেন। আচমকা একটি গর্ত থেকে ফোঁস শব্দ কানে ভেসে আসে শ্রমিকদের। ভালো করে গর্তে উঁকি মারতেই দেখেন, একটি সাপ কুণ্ডুলি পাকিয়ে বসে রয়েছে । হঠাৎ সাপ দেখে ভয় পেয়ে যান শ্রমিকরা। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরাও। এরপর কাজ বন্ধ রেখে খবর দেওয়া হয় পরিবেশপ্রেমী সংগঠন ডুয়ার্স নেচার অ্যান্ড স্নেক লাভার্স অর্গানাইজেশনের সদস্যদের।
ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই তাঁরা অজিতকুমারের বাড়িতে চলে আসেন। সাপটিকে উদ্ধার করেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া সাপটি লম্বায় প্রায় ৭ ফুট। সাপটির নাম দাঁড়াশ এবং সেটি নির্বিষ। সাপটিকে উদ্ধারের পর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গরম পরতেই সাপের উপদ্রব বাড়তে শুরু করায় আতঙ্কিত শহরবাসী।
বাড়ির মালিক বলেন, “আমি তো প্রথমে বুঝতেই পারিনি। ঘরের দরজার একেবারে বাঁ পাশেই গর্ত ছিল। তার ভিতরে বসে ছিল। আরেকটু হলে হয়তো ঘরেও ঢুকে যেতে পারত। তাহলে আবার অনেক বড় সমস্যা হত। বাড়িতে বাচ্চারা খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিল।”