Madhyamik Exam: মাধ্যমিকে দারুণ নম্বর! চোখে স্বপ্ন ডাক্তার হওয়ার, কিন্তু বাড়িতে অর্থাভাব, সাহায্যের হাত বাড়াল পুলিশ
Madhyamik Exam: ময়নাগুড়ি ব্লকের জোরপাকড়ি এলাকায় বাস তমাস রায়ের। ময়নাগুড়ি সুভাষ নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। অভাবী সংসারের ঘানি টানতে বাবার সঙ্গে দোকানে কাজ করে। এবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভাল ফল করেছে সে।
জলপাইগুড়ি: দুঃস্থ মেধাবী ছাত্রদের পাশে দাঁড়াল জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ। নিত্যদিনের অভাবকে সঙ্গী করেই মাধ্যমিকে ভাল ফল করেছে ময়নাগুড়ি ব্লকের দুই দুঃস্থ মেধাবী ছাত্র। মঙ্গলবার বিকালে তাঁদের সংবর্ধনা দেন ময়নাগুড়ি থানার আইসি সুবল ঘোষ। আরও একবার পুলিশের মানবিক মুখ দেখল ময়নাগুড়িবাসী।
ময়নাগুড়ি ব্লকের জোরপাকড়ি এলাকায় বাস তমাস রায়ের। ময়নাগুড়ি সুভাষ নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। অভাবী সংসারের ঘানি টানতে বাবার সঙ্গে দোকানে কাজ করে। এবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভাল ফল করেছে। মাধ্যমিকে তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৫২। অন্যদিকে ময়নাগুড়ি আমগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের কন্যাবাড়ি এলাকা থাকে পার্থ রায়। ময়নাগুড়ি শহীদগর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। জমিতে কাজ করে কোনওরকমে সংসার চালান তার বাবা। মাধ্যমিক পরীক্ষায় তার প্রাপ্ত নম্বর ৫৬১। দুজনেই চায় ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে। কিন্তু, অন্তরায় অর্থ কষ্ট। মাধ্যমিকে ভাল ফল করলেও ছেলেদের উচ্চশিক্ষার খরচ কোথা থেকে আসবে তা ভেবেই মাথায় হাত দুই পরিবারের। এই অবস্থায় কৃতি দুই ছাত্রের পাশে দাঁড়ালেন ময়নাগুড়ি থানার আইসি সুবল ঘোষ।
এদিকে তমাস রায় বলছে, সে আরও পড়াশোনা করে বড় হয়ে চিকিৎসক হতে চায়। দাঁড়াতে চায় দুঃস্থ মানুষের পাশে। কিন্তু তাঁর নিজের বাড়িতেই অভাব। এখন পুলিশের পক্ষ থেকে এভাবে সংবর্ধনা পাওয়ায় খুবই খুশি ছোট্ট তমাস। পুলিশের পক্ষ থেকে টিউশন সহ পড়শানোর খরচ জোগানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানাচ্ছে সে। পুলিশের এই উদ্যোগে খুশি তার বাড়ির লোকজনও। পুলিশের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা সকলের গলাতেই।
এই খবরটিও পড়ুন
অন্যদিকে এভাবে দুঃস্থ ছাত্রদের পাশে দাঁড়াতে পেরে খুশি আইসি সুবল ঘোষ। অর্থাভাবে যাতে কারও পড়াশোনা না বন্ধ না হয় সে কারণেই তিনি ওই দুই ছাত্রের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। একইসঙ্গে একইরকম সমস্যায় এলাকার কেউ থাকলে তাঁদেরও পাশে থাকার চেষ্টা করা হবে বলে জানাচ্ছেন তিনি।