Street Dogs Bhai Dooj: যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা… পথকুকুরদের ভাইফোঁটা দিলেন ধূপগুড়ির কিশোরী
Dhupguri: জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ির তিন নম্বর ওয়ার্ডে থাকেন সপ্তদীপা। এই পথকুকুরদের নিয়ে দিনের অনেকটা সময় কেটে যায় তাঁর। প্রতিদিন সময় ধরে ওদের খাওয়ানো, ওদের সঙ্গে সময় কাটানো... এটা তাঁর রোজকার রুটিন। বা
ধূপগুড়ি: ওরা মানুষের মতো কথা বলতে পারে না। কিন্তু ওদের মধ্যেও আবেগ আছে, অনুভূতি আছে। স্নেহ, ভালবাসা, দায়িত্ববোধ সবই আছে। বুধবার ভাইফোঁটার দিনটা তাই বাড়ির আশপাশের পথকুকুরদের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন ধূপগুড়ির সপ্তদীপা দে। তাঁর বাড়ির আশপাশে প্রায় ১৪-১৫টি পথকুকুর রয়েছে। সারাদিন গোটা এলাকা পাহারা দেয় ওরা। পশুপ্রেমী সপ্তদীপার কাছে এই সারমেয়রা তাঁর আপন ভাইয়ের মতো। বাড়িতে দাদাকে ফোঁটা দেওয়ার পাশাপাশি তাই আজকের এই বিশেষ দিনে পাড়ার পথকুকুরদেরও আপদ-বিপদ থেকে মুক্ত রাখতে ফোঁটা দিলেন সপ্তদীপা।
জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ির তিন নম্বর ওয়ার্ডে থাকেন সপ্তদীপা। এই পথকুকুরদের নিয়ে দিনের অনেকটা সময় কেটে যায় তাঁর। প্রতিদিন সময় ধরে ওদের খাওয়ানো, ওদের সঙ্গে সময় কাটানো… এটা তাঁর রোজকার রুটিন। বাড়িতে সপ্তদীপার এক দাদা আছেন। সেরকম এই সারমেয়দেরও নিজের ভাইয়ের মতোই দেখেন সপ্তদীপা। সারাক্ষণ আগলে রাখেন। রোজ তিনবেলা খাওয়া-দাওয়া করান। কারও অসুখ-বিসুখ হয়ে তাঁদের চিকিৎসা করান, প্রয়োজনে পশু চিকিৎসকের কাছে ছোটেন।
আজ এই বিশেষ দিনটিও তাই ওই সারমেয়দের জন্য স্পেশাল করে তুললেন সপ্তদীপা। কপালে চন্দনের ফোঁটা দিয়ে তাঁদের সুস্থ জীবন কামনা করলেন। ধান ও দূর্বা ঘাস দিয়ে মাথায় ঠেকালেন। সঙ্গে ছিল ওদের পছন্দের বিস্কুট আর ডগ ফুড। ফোঁটা নিয়ে মনের সুখে তৃপ্তি করে সেই স্পেশাল ট্রিট খেল সারমেয়রা।
সপ্তদীপা দে জানালেন, এই প্রথম নয়, প্রতি বছরই তিনি ভাইফোঁটার দিনটি এভাবেই কাটান। নিজের দাদাকে ফোঁটা দেওয়ার পাশাপাশি পাড়ার পথকুকুরদেরও ফোঁটা দেন। বললেন, “এই সারমেয়রা আমার ভাইয়ের মতো। এদের আমি ভালোবাসি। নিয়মিত তিন বেলা খাবার দিই। অসুস্থ হলে তাদের চিকিৎসা করি। তাই ভাইফোঁটার মতো বিশেষ দিনে ফোটা দিয়ে তাদের দীর্ঘায়ু কামনা করলাম।”