Jalpaiguri: সাতসকালে বিষিয়েছে বায়ু, মৃত ১, জলপাইগুড়িতে হাসপাতালে ভর্তি ৩
Jalpaiguri: জলপাইগুড়ির ঘুগুডাঙার ট্যাপরা মারি এলাকায় রয়েছে ওই হিমঘর। সেখানে ১ লক্ষ ৯৫ হাজার ৩৬৮ কুইন্ট্যাল আলু রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। সূত্রের খবর, শনিবার সকালে এসি সারাইয়ের কাজ চলছিল হিমঘরে। শীততাপ নিয়ন্ত্রণের সেই যন্ত্র মেরামতির সময় ঘটে বিপত্তি।
জলপাইগুড়ি: সাতসকালে আচমকা গোটা এলাকায় কটূ গন্ধ। এলাকাবাসীর চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ। সবার মনেই কৌতূহল। এরইমধ্যে জানা গেল জলপাইগুড়ি ঘুঘুডাঙা জনতা হিমঘরে ঘটে গিয়েছে বড়সড় বিপর্যয়। হিমঘরের অ্যামোনিয়া গ্যাসই লিক করে ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়। এদিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। খবর যায় দমকলে। পরস্থিতি সামাল দিতে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান হলদিবাড়ি দমকল কেন্দ্রের কর্মীরা। খবর যায় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের কাছেও। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য জলপাইগুড়ি ঘুঘুডাঙা এলাকায়।
জলপাইগুড়ির ঘুগুডাঙার ট্যাপরা মারি এলাকায় রয়েছে ওই হিমঘর। সেখানে ১ লক্ষ ৯৫ হাজার ৩৬৮ কুইন্ট্যাল আলু রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। সূত্রের খবর, শনিবার সকালে এসি সারাইয়ের কাজ চলছিল হিমঘরে। শীততাপ নিয়ন্ত্রণের সেই যন্ত্র মেরামতির সময় ঘটে বিপত্তি। পাইপ ফেটে বের হতে থাকে অ্যামোনিয়া গ্যাস। কটূ গন্ধে ঢেকে যায় গোটা এলাকা। গ্যাসের দাপটে দুই কর্মী অসুস্থও হয়ে পড়েন বলে খবর। খবর যায় পুলিশে। দমকল কর্মীরা এসে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। অসুস্থ দুই কর্মীকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। বর্তমানে তাঁদের জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল। তাঁদের মধ্যে এক টেকনিশিয়ানের মৃত্যুর খবরও পাওয়া যাচ্ছে।
কুতুবউদ্দিন শেখ নামে ওই ব্যাক্তির বাড়ি ২৪ পরগনা জেলায়। সূত্রের খবর, তিনিই এদিন পাইপে উঠে প্রথম কাজ শুরু করেন। তাঁর শরীরের চাপে ভেঙে যায় পাইপ। বেরিয়ে আসে প্রচুর পরিমাণে অ্যামোনিয়া গ্যাস। সেই গ্যাসে ঝলসেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। শেষ পাওয়া আপডেটে জানা যাচ্ছে ঘটনায় এখনও পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা মোট ৩।
অনেকেই বলছেন দমকল আসতে আরও একটু দেরি হলে আরও বড় বিপর্যয় ঘটতে পারত। ঘটনার খবর চাউর হতেই অনেকেই আবার ভোপালের ভয়াবহ গ্যাস দুর্ঘটনার কথা ভেবে আঁতকে উঠছেন।
ডায়মন্ড হারবার থেকে জলপাইগুড়ির ওই হিমঘরে কাজ করতে এসেছেন উরগান শেখ। ঘটনার পর থেকে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট তাঁর চোখেমুখেও। তিনি বলছেন, এদিন সকালে আমরা হিমঘরে কাজ করছিলাম। তখনই ঘটে বিপত্তি। আচমকাই গ্যাস লিক হতে শুরু করে। দু’জন মারাত্মকভাবে অসুস্থও হয়ে পড়ে। ওদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দমকল, পুলিশও এসেছে। এনডিআরএফ-র টিম এসে গ্যাস লিক বন্ধ করেছে।