HS Student Suicide: প্রেমিকের শর্ত, ফেল করলেই ব্রেকআপ! রেজাল্ট বেরতেই ‘জীবনটাই ফেল’ হয়ে গেল উচ্চ মাধ্যমিক ছাত্রীর

HS Student Suicide: চরম শর্ত দিয়েছিল প্রেমিক, না হলেই ব্রেকাপ। রেজাল্ট বেরোতেই তের শিরা কেটে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী জলপাইগুড়ির উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্রী।

HS Student Suicide: প্রেমিকের শর্ত, ফেল করলেই ব্রেকআপ! রেজাল্ট বেরতেই ‘জীবনটাই ফেল’ হয়ে গেল উচ্চ মাধ্যমিক ছাত্রীর
মৃত ছাত্রী আশা সাহা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 27, 2023 | 12:15 PM

জলপাইগুড়ি: প্রেমিকের চরম শর্ত পূরণ করতে না পেরে হতাশায় হাতের শিরা কেটে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হল এক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী (HS student committed suicide)। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) শহরের সেনপাড়া এলাকায়। কি ছিল সেই চরম শর্ত? সূত্রের খবর, ওই ছাত্রীকে তাঁর প্রেমিক নাকি বলেছিল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ না করতে পারলে তাঁদের আর সম্পর্ক থাকবে না। এদিকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল সামনে আসার পর দেখা গেল মেয়েটি পাশ করতে পারেনি। এরইমধ্যে ওই পড়ুয়া দেখে প্রেমিকের স্ট্যাটাসে অন্য মেয়ের ছবি। আর এতেই অভিমানে আত্মঘাতী হয়েছে জলপাইগুড়ি পূর্বাঞ্চল হাইস্কুলের ছাত্রী আশা সাহা। এমনটাই দাবি তার পরিবারের। 

আশার বাবা পেশায় রিক্সা চালক। পরিবারের আর্থিক অবস্থা বিশেষ ভাল নয়। তাঁর তিন মেয়ের সংসারে আশাই ছিল বড় মেয়ে। অর্থকষ্টের মধ্যেই কোনওরকমে ছোট থেকে পড়াশোনা করে এসেছে ওই আশা। ছিল না কোনও গৃহশিক্ষক। এরইমধ্যে সম্প্রতি ফেসবুকে বেলাকোবার বাসিন্দা শুভঙ্কর বিশ্বাস নামে এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় আশার। তৈরি হয় প্রণয়ের সম্পর্ক। সব ঠিকঠাই ছিল। কিন্তু, এরইমধ্যে আচমকা মেয়ের মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা।

পরিবার সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বিকালে হাতের শিরা কেটে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে আশা। পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। শুক্রবার দুপুরে ময়নাতদন্তর পর পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেয় পুলিশ। এরপর বিকেলে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। শুক্রবার রাতে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় ওই যুবকের নামে অভিযোগ দায়ের করেছে মৃত ছাত্রীর পরিবার। 

মৃতার পিসি মলি সেন বলেন, “ওই ছেলেটি শর্ত দিয়েছিল উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করতেই হবে। না-হলে সম্পর্ক রাখবে না। এই শর্তে মানসিক চাপের মধ্যে পরীক্ষা দেয় আমার ভাইঝি। কিন্তু পাশ করতে পারেনি। বুধবার ফল ঘোষণার পর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল। এর মাঝেই ভাইঝি দেখতে পায় ওই ছেলেটির স্ট্যাটাসে অন্য মেয়ের ছবি। ভাইঝি জিজ্ঞেস করে এই মেয়েটি কে। উত্তরে ছেলেটা বলে কেউ না। তখন আমার ভাইঝি ছবিটি সরিয়ে দিতে বললেও সে রাজি হয়নি। বলে তোর সঙ্গে আমি আর কোনও সম্পর্ক রাখব না। এরপরই এই কাণ্ড ঘটায় আশা।” কাকা চন্দন সাহা বলেন, “ওই ছেলেটির জন্য আজ আমার ভাইপোর মর্মান্তিক পরিণতি।আমরা ওই যুবকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।” এ বিষয়ে অভিযুক্ত শুভঙ্কর বিশ্বাসের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। কোতোয়ালি থানার আইসি অর্ঘ্য সরকার জানিয়েছেন অভিযোগের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।