জলপাইগুড়ি: আবারও বিএসএফের (BSF) জালে একদল বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। ভুয়ো আধার সহ বিভিন্ন ভারতীয় পরিচয়পত্র বানিয়ে সীমান্ত পেরিয়েছিল ওই দলটি। যাদের প্রত্যেকেরই লক্ষ্য ছিল শ্রীনগরের আপেল বাগানে কাজ করা। কিন্তু তার আগেই জলপাইগুড়ির মানিকগঞ্জ সীমান্ত এলাকার বিএসএফ কর্মীদের হাতে ধরা পড়ে যায় দলটির কয়েকজন সদস্য। মোট ছয়জনের বাকিদের গ্রেফতার করা হয় নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে।
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, কাশ্মীরের আপেল বাগানের শ্রমিকের কাজ করার জন্য ধৃতরা দালাল মারফত যাচ্ছিল। তার আগে ভারতে প্রবেশের পরই প্রত্যেকে মোটা টাকা দিয়ে ভুয়ো আধার কার্ড ও ভোটার কার্ড বানিয়ে নিয়েছিল। এইদেশে প্রবেশের পর সীমান্ত এলাকাতেই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকছিল ৬ জন। তাদের দু’জনকে মানিকগঞ্জ থানা এলাকায় সন্দেহজনকভাবে ঘুরতে দেখেন কিছু স্থানীয় বাসিন্দা। অপরিচিত মুখ হওয়ায় তারা খবর দেন স্থানীয় বিএসএফ ক্যাম্পে। সঙ্গে-সঙ্গে আধা সেনার একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে ওই দুইজনকে গ্রেফতা করে। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই খোঁজ মেলে আরও চার সদস্যের।
বিএসএফের তদন্তকারীরা জানতে পারেন, নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন চত্বরে গা-ঢাকা দিয়ে রয়েছে আরও চারজন। পরে সেখানেও হানা দিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। রাতে ছয়জনকেই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পক্ষ থেকে কোতোয়ালি থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে ডিএসপি হেডকোয়ার্টার সমীর পাল বলেন, ‘ধৃতরা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের ঠাকুরগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। তাদের প্রত্যেকের কাছেই নকল আধার কার্ড, প্যান কার্ড সহ ভারতীয় পরিচয় পত্র উদ্ধার হয়েছে। এছাড়াও বেশ কিছু মোবাইল ফোন এবং ভারতীয় টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, কাশ্মীরের আপেল বাগান কাজ করতে যাওয়ার জন্য ভারতীয় দালালদের সঙ্গে এদের যোগাযোগ হয়। তারাই নিয়ে যাচ্ছিল ছয়জনকে।” অন্যদিকে, মঙ্গলবার ধৃতদের প্রত্যেককেই জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হয়। দালাল চক্রের সঙ্গে কারা কারা জড়িত তা জানতে ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে চেয়েছেন তদন্তকারীরা। সেইসঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান।
কিন্তু বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন তাই বাংলাদেশি গ্রেফতারের পর বিভিন্ন বাস স্ট্যান্ড জনবহুল এলাকায় চিরুনি তল্লাশি চালান পুলিশকর্তারা। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি চালায় বম স্কোয়াডও। যদিও পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, এটা পুলিশের রুটিন কাজ।