AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Malda Minor Girl Harassment: মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে কিশোরীকে লাগাতার ধর্ষণ, বর্বরোচিত ঘটনায় গ্রেফতার তৃণমূল কর্মী

Malda: অভিযোগ, এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার গ্রামের মহিলা ও নাবালিকাদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছিল এই শেখ রায়হান।

Malda Minor Girl Harassment: মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে কিশোরীকে লাগাতার ধর্ষণ, বর্বরোচিত ঘটনায় গ্রেফতার তৃণমূল কর্মী
শেখ রায়হান (নিজস্ব ছবি)
| Edited By: | Updated on: Mar 29, 2022 | 4:56 PM
Share

মালদা: টিভি ৯ বাংলার খবরের জের, গ্রেফতার মালদা ধর্ষণকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত শেখ রায়হান। মাধ্যমিক এক পরীক্ষার্থীকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল এই কর্মীর বিরুদ্ধে। মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে চলে লাগাতার নির্যাতন। কিন্তু এত দেরীতে গ্রেফতারি কেন প্রশ্ন তুলেছিলেন এলাকাবাসী। অভিযোগ, এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার গ্রামের মহিলা ও নাবালিকাদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছিল এই শেখ রায়হান।

মঙ্গলবার নির্যাতিতার বাড়িতে যান মালদা জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, সমগ্র পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে রিপোর্ট দেবেন সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অফিসার মৌসুমি দত্তরায়। এদিন তিনি জানিয়েছেন, নির্যাতিতার ওপর ভয়ংকর অত্যাচার হয়েছে। শুধু তাই নয়, অভিযুক্ত শেখ রায়হান এর আগেও গ্রামের মহিলা, নাবালিকাদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছে। অভিযুক্তের দুই দাদা আসরাফুল ও তাসরিফ সিভিক ভলেন্টিয়র। তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সার্বিক রিপোর্ট দেওয়া হবে জেলা শাসককে।

অন্যদিকে, তৃণমূলের জেলা সভাপতি রহিম বক্সি এবং এলাকার বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র জানিয়েছেন, তৃণমূল হলেও তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যদিকে এই বিষয়ে জেলায় আইন শৃঙ্খলা তলানিতে নেমেছে বলে দাবি তুলে তীব্র সমালোচনায় নেমেছে বিরোধীরা।

বস্তুত, সোমবারের ঘটনা। মালদার ইংরেজবাজার থানার এক কিশোরীর উপর চলে লাগাতার শারীরিক নির্যাতন। অভিযোগ, হাত পা বেঁধে, মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে ধর্ষণ করা হয় ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শেখ রায়হান। জানা যায়, সে এলাকার স্থানীয় তৃণমূল কর্মী। অভিযোগ, ওই তৃণমূল কর্মীর দুই দাদা সিভিক ভলান্টিয়ার। তারাই ভাইকে এই ঘটনার পর পালাতে সাহায্য করে। নির্যাতিতা ওই কিশোরীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, ওই কিশোরী এই বছরই মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে। বাবা পেশায় দিনমজুর। খুব কষ্ট করে মেয়েকে পড়াচ্ছেন। এদিন ঘটনার সময় তিনি কাজে গিয়েছিলেন। স্ত্রীও বাড়িতে ছিলেন না। সেই সুযোগকেই ওই যুবক কাজে লাগায় বলে অভিযোগ। ফাঁকা ঘরে ওই কিশোরী শুয়েছিল। সেই সময়ই ঘরে ঢুকে তার কপালে বন্দুক ঠেকায় অভিযুক্ত। এরপরই নারকীয় অত্যাচার চালায় ছোট্ট মেয়েটির উপর। যখন চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন ছুটে আসেন, মেয়েটি বিছানায় শুয়ে তখন কাতরাচ্ছে। রক্তে ভেসে যাচ্ছে চাদর। মা, বাবা এসে মেয়েকে এই অবস্থায় দেখে কেঁদে ফেলেন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে তুলে নিয়ে হাসপাতালের পথে ছোটে পরিবার।

আরও পড়ুন: Malda TMC Clash: লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যাচ্ছে পুলিশ, তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে উত্তপ্ত মালদা