নিজেই অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি রেখেছিলেন, মোবাইল-‘স্ক্রিনে’ চিড়! ঘুমের ওষুধ খেলেন ব্যাঙ্ককর্মী

Jan 30, 2021 | 6:11 PM

জলপাইগুড়ি মহামায়া পাড়ার বাসিন্দা বেসরকারি ব্যাঙ্কের কর্মী বছর পঁচিশের ওই গৃহবধূর বয়ানে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

নিজেই অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি রেখেছিলেন, মোবাইল-স্ক্রিনে চিড়! ঘুমের ওষুধ খেলেন ব্যাঙ্ককর্মী

Follow Us

জলপাইগুড়ি: মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে ভেঙে গিয়েছিল। সেটা সারাতেই এলাকারই দোকানে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই ফোনেই নিজের কিছু অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি তুলে রেখেছিলেন, ছিল কিছু ভিডিয়োও। দু’মাসের ব্যবধানে সেই সব ছবি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায়। তারপরই চলতে থাকে ব্ল্যাকমেলিং। ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাঁকে দেওয়া হয় সহবাসের প্রস্তাবও। এই সমস্ত অভিযোগ ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) এক গৃহবধূ। সেটিও আবার ভিডিয়ো করেন। সামাজিক মাধ্যমে তা ভাইরাল (CyberCrime) হতেই চাঞ্চল্য ওই গৃহবধূ বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

জলপাইগুড়ি মহামায়া পাড়ার বাসিন্দা বেসরকারি ব্যাঙ্কের কর্মী বছর পঁচিশের ওই গৃহবধূর বয়ানে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তাঁর বক্তব্য, গত অক্টোবর মাসে হাত থেকে পড়ে গিয়ে তাঁর মোবাইলের প্রোটেক্টর গ্লাস ভেঙে যায়। এরপর তিনি তাঁর মোবাইল আনলক অবস্থাতেই জলপাইগুড়ি কদমতলা এলাকার একটি দোকানে দেন। সেদিনই কিছুক্ষণ পর মোবাইলটি সারিয়ে নিয়ে যান তিনি।

অভিযোগ, গত ডিসেম্বরে একটি ভুয়ো প্রোফাইল থেকে তাঁর কিছু আপত্তিকর ছবি পাঠানো হয়। দেওয়া হয় সহবাসের প্রস্তাব। নগদ ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হয় বলেও অভিযোগ। ছবি ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। মহিলার দাবি, পরে তাঁর ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়। তারপর থেকে লাগাতার কটূক্তি শুরু হয়।

তিনি দারস্থ হন জলপাইগুড়ি সাইবার থানার পুলিশের। এরপর অপরিচিত ফোন নম্বর থেকে প্রাননাশের হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। তারপরই আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি।

পুলিসের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন ওই মহিলা। তাঁর বক্তব্য, “আজ যদি এই ঘটনা কোনও পুলিশ কর্মীর বোনের সঙ্গে হত, তবে কি অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করে শুধু ওয়ার্নিং দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হত।”

আরও পড়ুন: না থেকেও ডুমুরজলার সভায় থাকছেন অমিত শাহ!

ওই গৃহবধূর স্বামী বলেন, “আমি কাজে চলে গিয়েছিলাম। ফোনে শুনি ও অসুস্থ। বাড়িতে ফিরে দেখি ঘুমের ওষুধ খেয়েছে। অভিযুক্তরা শাস্তি পাক, এটাই চাই।” ঘটনায় জলপাইগুড়ি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সন্দীপ মন্ডল বলেন, “বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিচ্ছি।”

Next Article