AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Jalpaiguri: চলন্ত ট্রেনের গেটে দাঁড়িয়ে স্বামীর হাতটা চেপে ধরেছিলেন স্ত্রী, তবুও পারেননি, পদাতিক এক্সপ্রেসের যাত্রীরা থাকলেন ভয়ঙ্কর দৃশ্যের সাক্ষী

Jalpaiguri: শিলংয়ে  মহম্মদ কায়ামুদ্দিনের বিস্কুট কারখানা রয়েছে। তাই স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ব্যবসা সংক্রান্ত কাজের জন্য শিলং যাচ্ছিলেন। এখন তাঁদের NJP স্টেশন থেকে নর্থ‌-ইস্ট এক্সপ্রেস ট্রেনে করে গুয়াহাটি পর্যন্ত যাওয়ার কথা ছিল। সেখান থেকে বাসে করে শিলং যেতেন।

Jalpaiguri: চলন্ত ট্রেনের গেটে দাঁড়িয়ে স্বামীর হাতটা চেপে ধরেছিলেন স্ত্রী, তবুও পারেননি, পদাতিক এক্সপ্রেসের যাত্রীরা থাকলেন ভয়ঙ্কর দৃশ্যের সাক্ষী
পদাতিক এক্সপ্রেসে ভয়ঙ্কর ঘটনাImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 02, 2024 | 7:08 PM

 জলপাইগুড়ি: প্ল্যাটফর্মে অ্যানাউন্সমেন্ট শুনে তিনি বুঝতে পারেননি। ভুল ট্রেনে উঠে পড়েছিলেন। পরে বাকি যাত্রীদের থেকে যতক্ষণে জানতে পারেন, ওই ট্রেন তাঁর গন্তব্যে যাচ্ছে না, ততক্ষণে ট্রেন ছেড়ে দিয়েছে। লাফ দিয়ে চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়েছিলেন। কিন্তু একেবারে ট্রেনের ফাঁক দিয়ে পড়ে যান লাইনে। মৃত্যু হয় এক বিহারের বাসিন্দার। শুক্রবার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত‌ ওই যাত্রীর‌ নাম মহম্মদ কায়ামুদ্দিন (৫০)। বিহারের মাধোপুর‌ এলাকার বাসিন্দা। চোখের সামনে স্বামীকে এইভাবে ট্রেনে কাটা পড়তে দেখে বাকরুদ্ধ তাঁর স্ত্রী।

জানা গিয়েছে, শিলংয়ে  মহম্মদ কায়ামুদ্দিনের বিস্কুট কারখানা রয়েছে। তাই স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ব্যবসা সংক্রান্ত কাজের জন্য শিলং যাচ্ছিলেন। এখন তাঁদের NJP স্টেশন থেকে নর্থ‌-ইস্ট এক্সপ্রেস ট্রেনে  গুয়াহাটি পর্যন্ত যাওয়ার কথা ছিল। সেখান থেকে বাসে শিলং যেতেন। কিন্তু ভুল করে তাঁরা পদাতিক এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠে পড়েছিলেন‌।

NJP ছেড়ে জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে আসার পর ট্রেন বিভ্রাটের বিষয়টি যখন বুঝতে পারেন দম্পতি। কিন্তু ততক্ষণে ট্রেন ছেড়ে দেয়‌। ওই সময় তড়িঘড়ি করে স্ত্রীকে নিয়ে ট্রেন থেকে নামার সময় আচমকাই‌ পড়ে গিয়ে লাইনের মধ্যে ঢুকে যান কায়ামুদ্দিন। ঘটনায় তাঁর দুটো পা‌ কেটে যায়। দুর্ঘটনার পর রেল‌ পুলিশের কর্মীরা‌ তাঁকে উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু ততক্ষনে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। চিকিৎসকরা‌ তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাড়ির আত্মীয় পরিজনদের খবর দেওয়া হয়েছে বলে আরপিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে।