Jalpaiguri: ‘ক্লাস থ্রি-র ছাত্রকে অপহরণের চেষ্টা’, স্কুলের নোটিসে শহর জুড়ে ছড়াল আতঙ্ক

Jalpaiguri: গত ৮ সেপ্টেম্বর শহরের মাঝখানে অবস্থিত ফণীন্দ্র দেব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রকে অপহরণের চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। শনিবার স্কুল কর্তৃপক্ষের নজরে আনেন ওই ছাত্রের অবিভাবক।

Jalpaiguri: 'ক্লাস থ্রি-র ছাত্রকে অপহরণের চেষ্টা', স্কুলের নোটিসে শহর জুড়ে ছড়াল আতঙ্ক
জলপাইগুড়ি স্কুলের নোটিস ঘিরে আতঙ্কImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 11, 2023 | 4:01 PM

জলপাইগুড়ি: তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রকে অপহরণের চেষ্টা হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের এহেন নোটিস ঘিরে উদ্বেগ অভিভাবক মহলে। স্কুল গেটে পুলিশ মোতায়েন চেয়ে থানার দারস্থ হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। SI দের মাধ্যমে জেলার সমস্ত স্কুলকে সতর্ক করা হয়েছে। পাশাপাশি সচেতনতামূলক প্রচার করারও নির্দেশ দিয়েছে ডিআই। ছেলেধরার আতঙ্ক ছড়াল জলপাইগুড়িতে। সোমবারই পুলিশ প্রশাসনের দারস্থ হয়েছেন জলপাইগুড়ি ফণীন্দ্রদেব প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিগত প্রায় এক মাস ধরে ছেলে ধরা গুজবে আতঙ্ক ছড়িয়েছে জলপাইগুড়িতে। জেলার ময়নাগুড়ি, ধূপগুড়ি-সহ বিভিন্ন এলাকায় ছেলেধরা সন্দেহে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে মারধরেরও অভিযোগ উঠেছে। এমনকি এমনও হয়েছে, উদ্ধার করতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হয়েছে পুলিশকে। এবার আতঙ্ক ছড়াল শহর জলপাইগুড়ি।

গত ৮ সেপ্টেম্বর শহরের মাঝখানে অবস্থিত ফণীন্দ্র দেব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রকে অপহরণের চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। শনিবার স্কুল কর্তৃপক্ষের নজরে আনেন ওই ছাত্রের অবিভাবক। এরপর গত ৯ তারিখ স্কুল কর্তৃপক্ষ নোটিস জারি করে।

সোমবার স্কুলে লিখিতভাবে অভিযোগ জানান ছাত্রের বাবা। এরপর ক্লাস গুলিতে সচেতনতা প্রচারে নামে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নোটিস দিয়ে অবিভাবকদের সতর্ক করা হয়। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ চেয়ে পুলিশ প্রশাসনের দারস্থ হয় স্কুল কর্তৃপক্ষ।

ঘটনায় উদ্বিগ্ন অবিভাবকরাও। প্রয়োজনে স্কুলের বাইরে পুলিশ মোতায়েনেরও দাবি তুলেছেন অনেকে। ছেলেদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন অনেকেই।

ডি আই জলপাইগুড়ি শ্যামল চন্দ্র রায় বলেন, “ঘটনা নিয়ে থানার দারস্থ হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। জেলার সমস্ত এসআই-দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সচেতনতামূলক প্রচার করার জন্য। স্কুলগুলিকেও সচেতন ও পড়ুয়াদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।”

ঘটনায় জলপাইগুড়ি পুলিশ সুপার উমেশ খান্ডবাহালে বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত হবে। ইতিমধ্যে জেলা জুড়ে সচেতনতা প্রচার শুরু হয়েছে।