Jalpaiguri: আচমকাই কুরিয়র মারফৎ মমতার কাছে বিশেষ বার্তাবহ কেক, তারপর…
Jalpaiguri: ১ জানুয়ারি জলপাইগুড়ি জেলা ১৫৫ বছরে পা দিল। আর সেদিনই বিকালে কুরিয়ার মারফৎ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জলপাইগুড়ির ঐতিহ্যবাহী রাজবাড়ি গেটের ছবি সম্বলিত একটি বড়সড় কেক পাঠান যুব কংগ্রেস কর্মীরা।
জলপাইগুড়ি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নতুন বছরে উপহার পাঠিয়ে রিটার্ন গিফট চাইলেন কংগ্রেস নেতা। শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর। তাঁর দাবি, জলপাইগুড়ি পৌরসভাকে কর্পোরেশনে উন্নীত করতে হবে। গত ৩ দশকের বেশি সময় ধরে এই দাবি করে আসছে কংগ্রেস। লোকসভা ভোটের মুখে এবার সেই দাবিকে আরও একবার উস্কে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিনব কায়দায় দাবি জানালেন যুব কংগ্রেস নেতা তথা কংগ্রেস পঞ্চায়েত গণেশ ঘোষ।
১ জানুয়ারি জলপাইগুড়ি জেলা ১৫৫ বছরে পা দিল। আর সেদিনই বিকালে কুরিয়ার মারফৎ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জলপাইগুড়ির ঐতিহ্যবাহী রাজবাড়ি গেটের ছবি সম্বলিত একটি বড়সড় কেক পাঠান যুব কংগ্রেস কর্মীরা। রিটার্ন গিফট হিসেবে তাঁরা জলপাইগুড়িকে কর্পোরেশনে উন্নীত করার দাবি রেখেছেন।
যুব কংগ্রেস নেতা গণেশ ঘোষ বলেন, “রাজ্য ৭ টি কর্পোরেশন রয়েছে। তার মধ্যে মাত্র একটি কর্পোরেশন রয়েছে শিলিগুড়িতে। এই শিলিগুড়ি কর্পোরেশন বাম জমানায় জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের বেশ কিছু এডেড এড়িয়ে নিয়ে গঠিত হয়েছিল। বাম জমানা শেষ হওয়ার পর তৃণমূল ক্ষমতায় আসে।” তাঁর বক্তব্য, “তৃণমূল ক্ষমতায় এসে জলপাইগুড়ি জেলাকে ভাগ করে দিয়ে আলিপুর দুয়ার জেলা গঠন করে। কিন্তু আমরা দীর্ঘদিন ধরে জলপাইগুড়ি পৌরসভাকে কর্পোরেশনে উন্নীত করার দাবি জানাচ্ছি, সেটা কেউ কর্ণপাত করছে না।” ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি জেলায় ক্রান্তি ও বানারহাট দুটি নতুন ব্লক ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী ধূপগুড়িকে মহকুমা হিসেবে ঘোষণা করেছেন। কিন্তু জলপাইগুড়িতে তৃণমূলের বিধায়ক থাকা সত্ত্বেও এখনও জলপাইগুড়ি পৌরসভা কর্পোরেশন হয়নি বলে দাবি কংগ্রেস নেতার।
কংগ্রেস নেতার দাবি, “আমরা চাই এবার জলপাইগুড়ি কর্পোরেশন ঘোষণা করুক মুখ্যমন্ত্রী। সেইজন্য তাঁর কাছে গিফট হিসাবে কেক পাঠিয়ে রিটার্ন গিফট দাবি করেছি।”
কংগ্রেসের এই দাবিকে ঘুরিয়ে সমর্থন করেছে তৃণমূলের জেলা কমিটির সদস্য তথা জলপাইগুড়ি পৌরসভার কাউন্সিলর তপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়ে তাঁর অবস্থান, “কংগ্রেস কর্মীরা বহু বছর আগে থেকে করে আসছে। পাশাপাশি এই দাবি তৃণমূলেরও। কিন্তু দাবি করার আগে তার পরিপ্রেক্ষিত ভাল করে খতিয়ে দেখে নেওয়া ভাল। আদৌও ওই দাবি কতটা যুক্তিসঙ্গত।”