Jalpaiguri Elephant: মধ্যরাতে দোকানে ঢুকল দাঁতাল, কোনওমতে প্রাণে বাঁচলেন মালিক
Jalpaiguri Elephant: জানা গিয়েছে, বুধবার অনেকটা রাতে একটি দল ছুট হাতি জঙ্গল থেকে বের হয়ে আসে বাগানের বাসা লাইনে। ওই সময় নিজের দোকানে শুয়েছিলেন দোকানের মালিক বিরবাল ওঁরাও।
জলপাইগুড়ি: গভীর রাতে দোকানে হাতির দৌরাত্ম্য। প্রাণে বাঁচলেন দোকান মালিক। চাঞ্চল্য এলাকায়। জলপাইগুড়ি মেটেলি ব্লকের ইনডং চা বাগানে লাগাতার হাতির হানা হচ্ছে। বুধবার রাতে খাদ্যের খোঁজে বাগানের একটি দোকানে ঢুকে পড়ে। দোকানে মজুত চাল, ডাল, গম খেয়ে চম্পট দেয়। দোকানের দেওয়াল ভেঙে সাবার করে খাদ্যদ্রব্য। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকাবাসী। তাই বনদফতরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাসিন্দারা।
জানা গিয়েছে, বুধবার অনেকটা রাতে একটি দল ছুট হাতি জঙ্গল থেকে বের হয়ে আসে বাগানের বাসা লাইনে। ওই সময় নিজের দোকানে শুয়েছিলেন দোকানের মালিক বিরবাল ওঁরাও। হাতিটি এসে দোকানের দেওয়াল ভাঙা শুরু করলে তিনি দোকান থেকে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন।
ঘণ্টা খানেক পর হাতিটি সেখান থেকে চলে যায়। মঙ্গলবার রাতেও ইনডং চা বাগানের সহকারি ম্যানেজারের বাংলোতে হামলা চালায় হাতি। প্রায় সপ্তাহ দুয়েক আগে বাগানের ১১ টি শ্রমিক আবাসও ভেঙ্গে দেয় হাতি। লাগাতার বাগানে হাতির হানায় বনদফতরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে বাসিন্দারা বলেন, বাগানে হাতির হানা রুখতে বনদফতর কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এইভাবে চলতে থাকলে বাগানে হাতির হানায় প্রাণহানিও হাতে পারে। বনদফতরের তরফে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
জলপাইগুড়ির পাচার হওয়ার আগেই উদ্ধার হয় ১০টি হাতি। দশটি ট্রাকে করে ওই দশটি হাতিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তিস্তা সেতুর কাছে দশটি ট্রাক সহ দশটি হাতি আটক করে বন দফতর। সূত্রের খবর, হাতিগুলিকে অরুণাচল প্রদেশ থেকে গুজরাটের জামনগরের রাধা মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই সময় পথ আটকায় বন দফতর। কাগজপত্র খতিয়ে দেখতে শুরু করেন বন কর্মীরা। পাশাপাশি হাতি সহ ট্রাকগুলিকেও আটক করা হয়।