Jalpaiguri: করোনার প্রকোপের মধ্যেই জলপাইগুড়িতে এবার ছড়াল ‘অন্য’ আতঙ্ক
Jalpaiguri:জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে খবর, চলতি মাসে জলপাইগুড়ি শহরে আটজন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছে। যার মধ্যে তিন শিশু রয়েছে। এক নম্বর ওয়ার্ডে আক্রান্ত হয় তিন বছরের এক শিশু।

জলপাইগুড়ি: রাজ্যে ইতিমধ্যেই করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। এরই মধ্যে এবার জলপাইগুড়িতে ডেঙ্গির থাবা। আক্রান্ত শিশুরাও। এই পরিস্থিতিতে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠকের নির্দেশ দিলেন জেলাশাসক।
জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে খবর, চলতি মাসে জলপাইগুড়ি শহরে আটজন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছে। যার মধ্যে তিন শিশু রয়েছে। এক নম্বর ওয়ার্ডে আক্রান্ত হয় তিন বছরের এক শিশু। দু’মাসের শিশু সহ মোট তিন শিশু জলপাইগুড়ি শহরে আক্রান্ত হয়েছে বলে দাবি করেছেন জলপাইগুড়ি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়। এই শিশুরা জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের শিশু বিভাগে চিকিৎসাধীন।
গত বছর জলপাইগুড়ি পৌর এলাকায় সারা বছরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল মোট ২৫ জন। কিন্তু চলতি বছরে মে মাসের আগেই সংখ্যা দাঁড়ায় আট। আর জেলায় গতকাল পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭। এতেই কপালে চিন্তার ভাঁজ প্রশাসনের।
তাই ‘ডেঙ্গি বিজয় অভিযান’ যেখানে জুন মাসের মাঝামাঝি শুরু হতে তা এগিয়ে আনা হয়েছে। বুধবার জরুরি বৈঠক করে এই কথা জানিয়েছেন জেলাশাসক শামা পারভিন। পাশাপাশি যেভাবে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তাতে বাড়ছে উদ্বেগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শহর জুড়ে পরিচ্ছন্নতা এবং সচেতনতার কর্মসূচিতে জোর দিচ্ছে পুরসভা।
জানা গিয়েছে, পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তিন বছরের একটি শিশু ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছে। শিশুটি গত কয়েক দিন থেকেই জ্বরে ভুগছিল। পরিবারের পক্ষ থেকে রক্ত পরীক্ষা করালে ডেঙ্গি পজেটিভ আসে। আক্রান্ত শিশুর বাড়ি ও আশপাশের এলাকা পরিষ্কার করে মশা মারার ওষুধ স্প্রে করে দিয়েছেন পুরসভার কর্মীরা। আক্রান্ত শিশু র বাড়ি ও আশপাশের এলাকায় জমা জলে ডেঙ্গির লার্ভা পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গেছে।
জেলাশাসক শামা পারভিন বলেন,”ডেঙ্গি মোকাবিলা কর্মসূচির সময় আমরা এগিয়ে আনলাম। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।” ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ডেঙগু এইভাবে বেড়ে যাওয়ায় আমরা চিন্তায় আছি। সরকারি হিসাবে আজ পর্যন্ত ৬ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত। কিন্তু আমার কাছে খবর আছে নার্সিং হোমে আরও দুইজন ডেঙ্গি নিয়ে ভর্তী। কিন্তু নার্সিং হোম গুলি পোর্টালে সেই তথ্য আপলোড করেনি। কেন তারা তথ্য গোপন করছে তা জানিনা। আমরা চাই তথ্য নির্ভুল হোক।”

