Jalpaiguri: দেদার বিকচ্ছে জলপাই রঙের পোশাক, চিন্তা বাড়ছে প্রশাসনের
Jalpaiguri: বিন্নাগুড়ি সেনাছাউনিতে ঠিক ঢিল ছোড়া দূরত্বে রয়েছে এমন তিনটি সেনাবাহিনীর পোশাকের দোকান। যেখানে পরনের পোশাক সহ সব ধরনের সামগ্রী বিক্রি করা হয়। টিভি নাইন বাংলাকে দেখতেই অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন দোকান মালিক।

জলপাইগুড়ি: গোটা দেশে যখন যুদ্ধ যুদ্ধ আবহও, তখন বিন্নাগুড়ি সেনা ছাউনির বাইরে দেদার বিকচ্ছে জলপাই রঙের পোশাক। যুদ্ধের আবহাওয়ার মধ্যেই খোলা বাজারে জলপাই রঙের পোশাক কিনতে দেখা যাচ্ছে, সাধারণ মানুষ থেকে ট্রাক চালক, ভিন রাজ্যের মানুষকেও। যার রীতিমতো চিন্তার বলে মনে করছে বুদ্ধিজীবীরা, এই পোশাক বিপদ বাড়াবে নাতো প্রশ্ন উঠছে।
ইতিমধ্যে ভারত সরকারের তরফে বেশ কিছু রাজ্যে প্রকাশ্যে জলপাই পোশাক বিক্রির উপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। পহেলগাঁওতে সেনা জনের পোশাকে হামলার ঘটনার পর আরও সতর্ক কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে জলপাইগুড়ির বিন্নাগুড়ি সেনাছাউনির বাইরে দেদার জলপাই পোশাক বিক্রি চিন্তা বাড়াচ্ছে। পরনের জামা থেকে প্যান্ট জুতো এমনকি কোমরের বেল্ট সবকিছুই মেলে এই দোকানগুলিতে। জলপাই পোশাক কেনার জন্য কোনও নিয়ম বিধি-নিষেধ নেই এখানে।
বিন্নাগুড়ি সেনাছাউনিতে ঠিক ঢিল ছোড়া দূরত্বে রয়েছে এমন তিনটি সেনাবাহিনীর পোশাকের দোকান। যেখানে পরনের পোশাক সহ সব ধরনের সামগ্রী বিক্রি করা হয়। টিভি নাইন বাংলাকে দেখতেই অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন দোকান মালিক। প্রথমে সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করেন সেনাবাহিনী ছাড়া অন্য কাউকে বিক্রি করা হয় না। কিন্তু ক্যামেরার সামনেই ধরা পড়ে অন্য ছবি, ভিন রাজ্যের এক ট্রাক চালককে জলপাই রঙের টি শার্ট কিনে নিয়ে যেতে দেখা যায়। সেই বিষয় নিয়ে দোকান মালিক কে প্রশ্ন করতেই তিনি উত্তর দেন, “একসঙ্গে টি শার্ট এবং প্যান্ট বিক্রি করা হয় না কাউকে। যে কোনও একটাই সাধারণ সিভিলিয়েন্স কে বিক্রি করা হয়।”
স্বাভাবিকভাবেই জলপাই পোশাক প্রকাশ্যে বিক্রির ঘটনায় চিন্তা বাড়ছে প্রশাসনের। প্রশ্ন উঠছে দেদার জলপাই পোশাক বিক্রি বিপদ বাড়াবে না তো এখানেও।





