Jalpaiguri: ২০ হাজার টাকায় ঘর ছাওয়া যায়? বিরক্ত জলপাইগুড়ির দুর্গতরা
Jalpaiguri: ভোট ঘোষণা হওয়ার পর এখন প্রশাসনিক সবকিছুই কমিশনের হাতে। রাজ্য ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর তৈরি করে দিতে চাইলেও কমিশনের অনুমতি ছাড়া তা করতে পারবে না। এ নিয়ে দুর্গতদের মধ্যে একটা ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে ২০ হাজার টাকা নিয়েও বাড়ছে অসন্তোষ। কারণ, দুর্গতদের বক্তব্য, ঘর তৈরির জন্য আরও টাকার দরকার। ২০ হাজার টাকায় টিনের ছাউনিও দেওয়া কঠিন বলে দাবি দুর্গতদের।
জলপাইগুড়ি: নির্বাচনী বিধি মেনেই সবটা করতে হচ্ছে। ঝড়ে যাঁদের ঘর উড়ে গিয়েছে, তাঁরা যাতে পরিকাঠামো নির্মাণের কাজ শুরু করতে পারেন, তার জন্য জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি ব্লকে সহায়তা পাঠানো শুরু করেছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের অ্যাকাউন্টে ২০ হাজার টাকা করে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে তারা। কমিশনের ৯ এর ‘এ’ নির্দেশিকা মেনেই এই টাকা পাঠানো হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
ভোট ঘোষণা হওয়ার পর এখন প্রশাসনিক সবকিছুই কমিশনের হাতে। রাজ্য ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর তৈরি করে দিতে চাইলেও কমিশনের অনুমতি ছাড়া তা করতে পারবে না। এ নিয়ে দুর্গতদের মধ্যে একটা ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
অন্যদিকে ২০ হাজার টাকা নিয়েও বাড়ছে অসন্তোষ। কারণ, দুর্গতদের বক্তব্য, ঘর তৈরির জন্য আরও টাকার দরকার। ২০ হাজার টাকায় টিনের ছাউনিও দেওয়া কঠিন বলে দাবি দুর্গতদের। বুধবার নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। দুর্গতদের ঘর তৈরি করে দেওয়ার অনুমতি কেন মিলছে না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি।
সূত্রের খবর, ময়নাগুড়ি ব্লকের বার্নিশ, মাধবডাঙা-২, ধর্মপুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় ঝড়ে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত ৬৩২টি পরিবারের মধ্যে ৪৪০ জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে গিয়েছে ২০ হাজার টাকা। যাঁরা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁরা পাচ্ছেন ৫ হাজার টাকা।