AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Maynaguri: ছটপুজোর চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র ব্যাপক উত্তেজনা, ময়নাগুড়িতে পাথর বৃষ্টি, ধারালো অস্ত্র নিয়ে দাপাদাপি

Maynaguri: প্রথমে কথা কাটাকাটি হলেও মুহূর্তে তা হাতাহাতিতে গড়ায়। সোমবার যাঁরা প্রতিবাদ করেছিলেন তাঁদের শুরুতে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁরাও পাল্টা মারধর করেন অন্য দলের লোকজনকে। চলতে থাকে ইট-পাথর বৃষ্টি। ধারালো অস্ত্র নিয়েও শুরু হয়ে যায় দাপাদাপি।

Maynaguri: ছটপুজোর চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র ব্যাপক উত্তেজনা, ময়নাগুড়িতে পাথর বৃষ্টি, ধারালো অস্ত্র নিয়ে দাপাদাপি
পুলিশে দায়ের অভিযোগImage Credit: TV-9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Nov 14, 2023 | 8:38 PM
Share

ময়নাগুড়ি: ছটপুজোর চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে দুই পুজো কমিটির সদস্যদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ ময়নাগুড়িতে। চলল পাথর বৃষ্টি, ধারালো অস্ত্র নিয়ে চলল দাপাদাপি। কারও ফাটল মাথা, কারাও শরীর হল ফালাফালা। ঝরল রক্ত। মঙ্গলবার দুপুরের এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল ময়নাগুড়িতে। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 

সূত্রের খবর, সোমবার ময়নাগুড়ির দুর্গাবাড়ি এলাকায় টোটো রিক্সা এবং দোকান থেকে ছটপুজোর চাঁদা তুলছিল এক পুজো কমিটির সদস্যরা। জানা গিয়েছে, ওই পুজো কমিটি তৈরি হয়েছে স্থানীয় দুটি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে। এদিকে এরইমধ্যে ওখানে এসে যায় অপর এক পুজো কমিটি। কেন তাঁরা চাঁদা তুলছেন তা নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন ওই পুজো কমিটির সদস্যরা। বন্ধ হয়ে যায় চাঁদা তোলা। সমস্যা মেটাতে মিটিংও ডাকা হয়। অভিযোগ, মঙ্গলবার মিটিং চলাকালীন ফের বচসা শুরু হয় দুই শিবিরের মধ্যে। 

প্রথমে কথা কাটাকাটি হলেও মুহূর্তে তা হাতাহাতিতে গড়ায়। সোমবার যাঁরা প্রতিবাদ করেছিলেন তাঁদের শুরুতে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁরাও পাল্টা মারধর করেন অন্য দলের লোকজনকে। চলতে থাকে ইট-পাথর বৃষ্টি। ধারালো অস্ত্র নিয়েও শুরু হয়ে যায় দাপাদাপি। ঘটনায় দুই শিবিরের বেশ কয়েকজন গুরুতরভাবে জখমও হয়ে যান। তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে। ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে ময়নাগুড়ি থানায়।

ঘটনায় পায়েল বাস্পর নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “ওই দলের লোকেরাই প্রথম আমাদের মারে। পাথর দিয়ে মারে। ওরা আমাদের এখানে পুজো করতে দিতে চায় না। আগে ছোট করে পুজো হত। এখন আমরা চাইছিলাম একটু বড় করে পুজো করতে। সে কারণেই চাঁদা তুলছিলাম। তখনই ওরা বাধা দেয়। ওরা ২০০ জন মিলে আমাদের মারধর করেছে।” যদিও অন্য শিবিরের পক্ষ থেকে ভিকি বাস্পর বলছেন, “সব মিথ্যা অভিযোগ। ওরাই আগে মারামারি শুরু করেছে।”