মালবাজার: ২০২২ সালের দশমীর দিনে মালবাজারের মাল নদীতে বিসর্জন ঘাটে ঘটে যাওয়া হড়পা বানের আতঙ্ক এখনও কাটেনি। সেই ঘটনার পর থেকে মাল পৌরসভা ও মাল মহকুমার প্রশাসন যথেষ্ট তৎপর।মাল নদীতে হবে প্রতিমা নিরঞ্জন আর তার আগেই চরম তৎপরতা প্রশাসনের। রয়েছে কড়া নজরদারি।এর পাশাপাশি ডুয়ার্সের বিভিন্ন নদীতে রয়েছে কড়া ব্যবস্থা।বানারহাট ব্লকের গয়েরকাটার আংড়া ভাসানদীতেও দেখা গেল প্রশাসনের তৎপরতা। রয়েছেন সিভিল ডিফেন্স কর্মীরাও।
মালবাজার পুরসভা, মহকুমা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে সাজিয়ে তোলা হয়েছে মাল নদীর বিসর্জন ঘাটকে। ইতিমধ্যেই মাল নদীর বিসর্জন ঘাটের প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্বে। রবিবার এবং সোমবার ধরে বিসর্জন প্রক্রিয়া জারি থাকবে। তবে রবিবার শহর-সহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন চা বাগানগুলির প্রতিমা নিরঞ্জন করা হবে মাল নদীর ঘাটে।
মালবাজার শহরের দমকল কেন্দ্রের পাশে থাকা ফাঁকা জমিতে মেলা বসবে। সেখানেই থাকবে বড় এলইডি স্ক্রিন। যেখান থেকে দর্শনার্থীরা মাল নদীবক্ষে হওয়া নিরঞ্জন প্রক্রিয়া দেখতে পারবেন। দর্শনার্থীদের জন্য থাকছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
মাল শহরের পূর্ব পাড় দিয়ে বয়ে চলা মাল নদীতে পৌঁছনোর ক্ষেত্রে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। দমকল কেন্দ্রের সামনে বিভিন্ন পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা প্রতিমা নিয়ে পৌঁছন মাত্রই বিসর্জন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার দায়িত্ব নেবে পুরসভা, পুলিশ ও মহকুমা প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা। পুজো কমিটির তরফে পাঁচ জন সদস্য নদীবক্ষে আসতে পারবেন।
পুজো কমিটির বাকি সদস্যরা দমকল কেন্দ্রের পাশে থাকা মাঠে থাকবেন। প্রতিমা নিরঞ্জন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবার পর গাড়িগুলিকে মেলার মাঠের সামনে নিয়ে আসা হবে। সেখান থেকেই পুজো কমিটি সদস্যরা পুনরায় ফিরে যাবেন।
২০২২ সালের দশমীর সন্ধ্যায় ঘটে যাওয়া মানব ভাসানের পর মালনদীর নিরঞ্জন প্রক্রিয়া নিয়ে বাড়তি সতর্ক প্রশাসন। সেই সর্তকতা এবারও জারি রয়েছে। প্রসঙ্গত মালবাজার পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান উৎপল ভাদুড়ি জানিয়েছেন, বিগত বছরের মত এবারও সুষ্ঠুভাবে নিরঞ্জন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য বাড়তি নজর দেওয়া হয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মাল নদীর বক্ষে প্রশাসনিক আধিকারিক, পুরসভার কর্মী, স্বেচ্ছাসেবক সহ আপৎকালীন বিভাগের সমস্ত রকমের সুযোগ সুবিধা থাকবে।
অন্যদিকে , মালবাজারের মাল নদীর পুরনো স্মৃতি থেকেই সতর্ক প্রশাসন। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস রয়েছে বৃষ্টির। সেই সতর্কতার সঙ্গে এবারে ভাসানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যেই গয়েরকাটায় আংড়া ভাসানদীতে প্রশাসনের তরফে নদীর পাশে করা হয়েছে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেট। বাড়তি নজরদারির জন্যে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। নদীতে নজরদারির জন্যে মোতায়েন করা হয়েছে সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের। পাশাপাশি বিসর্জন দিতে আসা পুজো কমিটির সদস্যরা যাতে কোনওমতেই নদীতে নামতে না পারে তার জন্য পুলিশ প্রশাসন যেমন রয়েছে, তেমনি ব্যবস্থা করা হয়েছে হাইড্রা ও জেসিবি মেশিন।