জলপাইগুড়ি: ভোরের আলো তখন ফুটেছে সদ্য। অন্ধকার পুরোটাও কাটেনি। আলো-আঁধারি পরিস্থিতিতেই ঘটে গেল ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। দ্রুত গতির লরির পিষে দিয়ে চলে গেল ব্যক্তিকে। এখানেই শেষ নয়, গাড়িটির গতি এতটাই বেশি ছিল যে মৃতদেহটিকে ওই অবস্থাতেই টানতে-টানতে নিয়ে চলে গেল বহুদূর অবধি। পরে ঘটনাস্থলে আসে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ ও দমকল বাহিনী।
চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি শহরের মিলপাড়া রোডের সুপার মার্কেট মোড়ের। সূত্রের খবর,মৃতের নাম তাজিমুল হক। বয়স আনুমানিক ৫০। তিনি মাগুরমারি এলাকার বাসিন্দা। প্রতিদিনই জলপাইগুড়ির সুপার মার্কেটে ফসল বিক্রি করতে আসেন তাজিমুলবাবু। শনিবারও তার অন্যথা হয়নি। সাতসকালে অনেকের মতই নিজের ফসল বিক্রি করতে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় রাস্তা পারাপারের সময় ঘটে যায় অঘটন। উল্টোদিক অর্থাৎ গয়েরকাটা থেকে ধূপগুড়িগামী একটি বাদাম বোঝাই দ্রুতগতির লরি আসছিল। তখনই রীতিমতো পিষে দেয় তাঁকে। লরিটির গতিবেগ এতটাই বেশি ছিল যে, বাইক সহ তাজিমুলবাবুকে প্রায় ১০০ মিটার টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায়। পরে পাশে থাকা দমকল বাহিনীর কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এলাকায় আসে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ।
এদিকে দীর্ঘক্ষণ গাড়ির নীচে আটকে থাকে বাইক সহ ওই ব্যক্তির দেহ। পরে দীর্ঘ প্রচেষ্টায় গাড়ির নীচ থেকে তাঁর দেহ বের করে আনতে সক্ষম হন ধূপগুড়ি দমকল বাহিনীর কর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। এদিকে, একের পর এক দুর্ঘটনায় রীতিমত আতঙ্কিত শহরবাসী। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকা নিয়েও।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি এমনি সময় রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। অথচ ব্যস্ততম সুপার মার্কেটের মোড়ে কেন কোনও পুলিশের গাড়ি দেখা যায় না? ট্রাফিক পুলিশকে যখন হেলমেট না পরা কারণে ফাইন নিতে দেখা যায়। তখন দ্রুতগতির এবং ওভারলোডিং গাড়ির বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না? এক এলাকাবাসী বলেন, “ওনার বাড়িতে ছেলে-মেয়ে আর স্ত্রী রয়েছেন। মেয়ের বিয়ে দেবেন বলেও কথা-বার্তা চলছিল। আজ হাটে আসছিলেন হঠাৎই দুর্ঘটনা ঘটে গেল।”
আরও পড়ুন: Women Death in Balurghat: সন্তান জন্মের এক সপ্তাহের মধ্যেই মৃত্যু মহিলার, কারণ শুনলে চোখে জল আসবে
আরও পড়ুন: Bengal Municipal Election: এবার আর দেওয়াল লিখন নয়, ভোট প্রচারের শাসক-বিরোধীর হাতিয়ার কার্টুন