ময়নাগুড়ি: প্রতিবন্ধী নাবালিকাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ। মঙ্গলবার ধৃতকে আদালতে নিয়ে গেল ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ। যদিও, অভিযুক্ত ব্যক্তি গোটা ঘটনাই অস্বীকার করেছে। এদিন আদালতে যাওয়ার পথে সংবাদ মাধ্যম প্রশ্ন করলে সে জানায়, “আমি কিছুই করিনি। বাচ্চাটা নিজেই আমার বাড়িতে এসেছিল। এখন আমার উপর দোষ চাপানো হচ্ছে। এই প্রথম নয়, এর আগেও মাঝে মধ্যে বাচ্চাটা আমার বাড়িতে চলে আসত।”
সোমবার এক নাবালিকাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে। ঘটনাস্থান সেই জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির। নাবালিকা প্রতিবন্ধী বলেও জানা গিয়েছে। তার হাত মুখ,বেঁধে তাঁকে শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, প্রতিবন্ধী মেয়ের বাড়ি থেকে ৫০-৭০ মিটার দূরে একটি বাড়িতে নিয়ে যায় অভিযুক্ত ব্যক্তি। তারপর তার হাত ও মুখ বেঁধে শ্লীলতাহানি করা হয়। পড়শিরা দরজা খুলে মেয়েটিকে উদ্ধার করে আনে।
এই ঘটনায় ময়নাগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নাবালিকার মা। ময়নাগুড়ি থানার পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি মহিলা মোর্চা। থানায় পুলিশের সঙ্গে বচসাও হয় বিজেপির মহিলা মোর্চার সদস্যাদের। অভিযোগ পাওয়ার পরই তৎপর হয় ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে আগামিকাল আদালতে তোলা হবে।
বস্তুত, জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে ধর্ষণের অভিযোগে রীতিমত উত্তাল হয়ে ওঠে জেলা।এক টানা ১২ দিনের লড়াই শেষ করে সোমবার ভোরবেলা মৃত্যু হয় ছোট্ট মেয়েটির। অভিযোগ, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি
ময়নাগুড়ির ওই নাবালিকা বাড়িতে একা ছিল। সেই সুযোগে এক যুবক তার বাড়িতে ঢোকে। ছোট্ট মেয়েটির সঙ্গে পাশবিক আচরণ করে। ঘটনার পর নাবালিকার চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ছুটে আসেন এলাকার লোকজন। বিপদ বুঝে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত।
নির্যাতিতার পরিবার স্থানীয় থানায় অভিযোগও দায়ের করে। কিন্তু অভিযোগ, ওই যুবকের দাদা তৃণমূলের নেতা। সেই প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে গ্রেফতারি এড়াতে আগাম জামিন নিয়ে নেন ওই যুবক। এরপরই ফের এলাকায় ফেরেন তিনি। এদিকে গত ১৩ এপ্রিল ওই নাবালিকার বাড়িতে মুখ ঢেকে কয়েকজন যুবক ঢোকেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয় নির্যাতিতাকে।
শাসিয়ে আসে, কথার নড়চড় হলে পরিবারের লোকজনকে মেরে ফেলবে। এরপরই ভয়ে সিঁটিয়ে যায় নাবালিকা। অভিযোগ, নিজেকে শেষ করে দিতে ১৪ এপ্রিল গায়ে আগুন লাগিয়ে ফেলে। ভর্তি করা হয় জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। কিন্তু ক্রমেই অবস্থার অবনতি হচ্ছিল। উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই সোমবার ভোরে মৃত্যু হয় তার।