ভুয়ো RT-PCR রিপোর্ট দিয়ে একের পর এক ‘প্রতারণা’, মাটিগাড়া থেকে গ্রেফতার যুবক

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Aug 21, 2021 | 9:11 PM

পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তে তারা জানতে পেরেছে এর আগে সৈকত অন্য একটি নার্সিংহোমে কাজ করতেন। সেখানেও তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ছিল।

ভুয়ো RT-PCR রিপোর্ট দিয়ে একের পর এক প্রতারণা, মাটিগাড়া থেকে গ্রেফতার যুবক
নিজস্ব চিত্র।

Follow Us

শিলিগুড়ি: এবার কোভিড টেস্টে জালিয়াতির অভিযোগ উঠল। জাল আরটিপিসিআর টেস্টের রিপোর্টে শিলিগুড়ি থেকে গ্রেফতার হলেন সৈকত দে নামে এক যুবক। শিলিগুড়ির স্টেশন রোডের বাসিন্দা সৈকতকে শুক্রবারই গ্রেফতার করে মাটিগাড়া থানার পুলিশ।

শিলিগুড়ি সংলগ্ন কাওয়াখালি এলাকার একটি নার্সিংহোমে কাজ করতেন সৈকত দে। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে প্রতারণা এবং আরটিপিসিআর টেস্টের নামে নকল রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই নার্সিংহোমের তরফেই মাটিগাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। তার ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে সৈকতকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

সৈকত দে নামে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে। যেখানে বলা হয়, সোয়াব টেস্টের নমুনা সংগ্রহ করতেন তিনি। এই পরীক্ষার জন্য টাকা নিতেন। এদিকে রিপোর্ট যখন দিতেন তখন তা নেগেটিভ দেখাতেন। অভিযোগ, ওই রিপোর্টের সঙ্গে বাস্তবের কোনও সম্পর্কই নেই। ইচ্ছামত রিপোর্ট তৈরি করতেন। কাওয়াখালির ওই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের কাছেও এ সংক্রান্ত খবর আসতে শুরু করে। এরপরই তারা থানায় বিষয়টি জানায়।

পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তে তারা জানতে পেরেছে এর আগে সৈকত অন্য একটি নার্সিংহোমে কাজ করতেন। সেখানেও তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ছিল। তাঁকে সেখান থেকে বরখাস্তও করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। পরবর্তী কালে কাওয়াখালির ওই নার্সিংহোমে যোগ দেন তিনি। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে, যাঁদের সোয়াব সংগ্রহ করা হয়েছিল অধিকাংশই অভিযোগ দায়ের করেন। ভুয়ো রিপোর্টের কথা বলেন। এরপরই পুলিশের কাছে অভিযোগ যায়।

এর আগে ভূতুড়ে ল্যাবের খোঁজ মিলেছিল শিলিগুড়িতে। টেস্ট রিপোর্টে ল্যাবেরটরির যে ঠিকানা লেখা সেখানে কোনও ল্যাবই ছিল না বলে অভিযোগ ওঠে। অন্যদিকে রিপোর্টে যাঁদের সই ছিল, তাঁরা তিনজনই সরকারি প্যাথলজিস্ট ও টেকনিশিয়ান। তাঁদের দাবি, এমন সই তাঁরা করেননি। সেই ঘটনায় তোলপাড় হয় শিলিগুড়িতে। অভিযোগ উঠেছিল, সাধারণ টেস্ট থেকে কোভিড টেস্টের নামে লোক ঠকাচ্ছে বহু ল্যাব। অধিকাংশের খোঁজই মিলছে না। বাজারে ছড়িয়ে থাকা এজেন্টের মাধ্যমে নমুনা ও অর্থ সংগ্রহের পর ভুয়ো ল্যাবের নামে রিপোর্ট দিচ্ছে এরা। এবার ভুয়ো রিপোর্ট তৈরির অভিযোগে গ্রেফতার করা হল একজনকে। আরও পড়ুন: দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে যুক্ত হচ্ছে খুনের চেষ্টার ধারা, আগামী সপ্তাহেই চার্জশিট?

Next Article