Fake Vaccine: দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে যুক্ত হচ্ছে খুনের চেষ্টার ধারা, আগামী সপ্তাহেই চার্জশিট?

প্রথম থেকেই এই ঘটনায় মানুষের প্রাণহানির ঝুঁকি নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল।

Fake Vaccine: দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে যুক্ত হচ্ছে খুনের চেষ্টার ধারা, আগামী সপ্তাহেই চার্জশিট?
ছবি-ফেসবুক
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 21, 2021 | 7:09 PM

কলকাতা: ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে এবার যুক্ত হতে চলেছে খুনের চেষ্টার ধারা। দেবাঞ্জন দেবের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার ধারা (৩০৭) যুক্ত করছে কলকাতা পুলিশ। অন্যদিকে সূত্রের খবর, কয়েক দিনের মধ্যেই কলকাতা পুলিশের তরফে এই ঘটনায় চার্জশিট দাখিল করা হবে।

কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেব। তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই প্রতারণা, ষড়যন্ত্র-সহ একাধিক অপরাধের ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, এবার সেই সমস্ত ধারার সঙ্গে যুক্ত হতে চলেছে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ ধারা। এই ধারা খুনের চেষ্টার মামলায় যুক্ত হয়। সূত্রের খবর, এই ধারাকে যুক্ত করেই ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে চার্জশিট পেশ করা হবে। সম্ভবত আগামী সপ্তাহেই এই চার্জশিট দেবে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা।

প্রথম থেকেই এই ঘটনায় মানুষের প্রাণহানির ঝুঁকি নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। একেবারেই আনকোড়া এই টিকা নিয়ে কার শরীরে কী প্রতিক্রিয়া হতে পারে তা সকলেরই অজানা। ফলে বড় বিপদ কিছু ঘটে যাওয়ার ঝুঁকি থেকেই গিয়েছিল। সেই বিষয়কে সামনে রেখেই এবার পুলিশের তরফে খুনের চেষ্টার ধারা সংযোজনের ভাবনাচিন্তা করা হয়। খুব দ্রুতই এই কাণ্ডে চার্জশিট পেশ করা হবে।

গত ২২ জুন প্রথম কসবা ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ড প্রকাশ্যে আসে। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবকে তড়িঘড়ি গ্রেফতারও করে পুলিশ। জানা যায়, অনুমতি ছাড়াই চলছিল করোনার টিকাকরণ। এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেব গ্রেফতারের পর তদন্তে নিত্য নতুন তথ্য উঠে আসতে থাকে। তদন্তে গতি আনতে লালবাজার গঠন করে সিট। ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে মোট চারটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এর মধ্যে একটি মামলা খারিজ হয়ে যায়। বাকি তিনটি মামলা করেছিলেন বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি, তাপস মাইতি ও আইনজীবী সন্দীপন দাস। বিজেপির তরফে এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তেরও দাবি তোলা হয়। দিও গত ৯ জুলাই কলকাতা হাইকোর্ট রায় দেয়, ভুয়ো ভ্যাকসিন মামলায় এখনই সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন নেই। জাল ভ্যাকসিন মামলার তদন্তে নেমে ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেব-সহ মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। এদের মধ্যে দেবাঞ্জন ছাড়া আরও ৪ জন বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। বাকিরা আদালতের নির্দেশে রয়েছে সংশোধনাগারে।

ভুয়ো আইএএস অফিসার দেবাঞ্জন দেবের প্রসঙ্গ টেনে রাজ্যে টিকা বণ্টনে দুর্নীতি হচ্ছে বলে দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারী। এই মর্মে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনকে একটি চিঠিও দেন তিনি। সেই চিঠির প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিবের একটি কড়া চিঠিও পৌঁছয় নবান্নে। মুখ্যসচিবকে উদ্দেশ্য করে সেই চিঠিতে লেখা হয়, শুভেন্দুর তোলা অভিযোগ নিয়ে রাজ্যকে দু’দিনের মধ্যে নিজের অবস্থান জানাতে হবে। এই প্রসঙ্গ নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল, “এই ঘটনায় রাজ্য সরকারের কোনও ভূমিকা নেই। নালিশ আসার সঙ্গে সঙ্গে যে পদক্ষেপ আমরা করেছি, এই ধরনের পদক্ষেপ আর কেউ কোনওদিন করা সাহস পায়নি। আর এখানে একটা পরিকল্পনা চলছে চক্রান্ত করে।” আরও পড়ুন: ৪ জ়োনে বাংলাকে ভাগ করবে সিবিআই, চারটি দল চষে বেড়াবে ‘হিংসা’ খুঁজতে