Facebook : ফেসবুকে ছবি দিতেই ভাইরাল, স্ত্রীর আবদার রাখতে গিয়ে গ্রেফতার স্বামী

Facebook : রবিবার বিকেলে তাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে কচ্ছপের ছানা ও টিয়া পাখি উদ্ধার করেন বন বিভাগের কর্মীরা। গ্রেফতার করা হয় বাপি দত্তকে।

Facebook : ফেসবুকে ছবি দিতেই ভাইরাল, স্ত্রীর আবদার রাখতে গিয়ে গ্রেফতার স্বামী
গ্রাফিক্স সৌজন্যে: অভীক দেবনাথ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 12, 2022 | 6:07 PM

শিলিগুড়ি: কচ্ছপ আর টিয়া পাখি পোষার শখ ছিল স্ত্রীর। শখ পূরণও করে ছিলেন স্বামী। কিন্তু সেই কচ্ছপের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করাই কাল হল শিলিগুড়ির (Siliguri) দত্ত দম্পত্তির জীবনে। শিলিগুড়ি হাকিম পাড়া এলাকার বাসিন্দা বাপি দত্ত। পেশায় বেসরকারি সংস্থার কর্মী। সূত্রের খবর, সম্প্রতি তাঁর স্ত্রী কচ্ছপ ছানা ও টিয়া পাখি কিনে দেওয়ার জন্য বাপির কাছে বায়না ধরেন। স্ত্রীর আবদার রাখতে বাপি সোজা চলে যান শিলিগুড়ি বাজারে। কিনে ফেলেন কচ্ছপ, সঙ্গে নেন টিয়া পাখিও। কচ্ছপ, টিয়া পেয়ে হাসি ফোটে স্ত্রী মিতা দত্তর মুখে। 

ঘরে সাজিয়ে রেখে ছবিও তোলেন। ছবি তোলার পর তা পোস্টও করেন ফেসবুকে। তবে তখনও তাঁরা জানতেন না তাঁদের সঙ্গে ঠিক কী ঘটতে চলেছে। ফেসবুকে পোস্ট করতে নতুন পোষ্যদের ছবি মুহূর্তে ভাইরালও হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)। ভাইরাল হওয়া পোস্ট চলে আসে বৈকন্ঠপুর বন বিভাগের (Forest Department) বেলাকোবা রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার সঞ্জয় দত্তর কাছে। রবিবার বিকেলে তাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে কচ্ছপের ছানা ও টিয়া পাখি উদ্ধার করেন বন বিভাগের কর্মীরা। গ্রেফতার করা হয় বাপি দত্তকে। সোমবার দুপুরে তাঁকে জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে তোলা হয়। আদালতের সরকারি আইনজীবী মৃন্ময় বন্দ্যোপাধ্যয় জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই তাঁর ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। 

বাপী দত্ত বলেন, “আমাকে আমার স্ত্রী অনুরোধ করেছিল কচ্ছপ আর টিয়াপাখি কিনে এনে দিতে। আমি ওর শখ পূরণ করেছিলাম। এখন সেটাই কাল হল।” মিতা দত্ত বলেন, “আমরা পেট লাভার। আমার বাড়িতে মাছ, পাখি ইত্যাদি রয়েছে। আমি জানতে পেরেছিলাম শিলিগুড়ি শহরের পেট শো রুমগুলিতে কচ্ছপ, টিয়া পাখি ইত্যাদি বিক্রি করা হয়। কিন্তু এগুলি বাড়িতে এনে পুষলে বন দফতরের লোক এসে আমাদের গ্রেফতার করবে তা আমার জানা ছিল না।” রেঞ্জ অফিসার সঞ্জয় দত্ত স্পষ্ট জানিয়েছেন এই দম্পতি ইন্ডিয়ান টেন্ট টার্টেল এবং টিয়াপাখি বাড়িতে পুষছিলেন। যা বেআইনি কাজ। এই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে এক ব্যক্তিকে। ধৃতকে আদালতে তোলা হয়েছে। যে বিক্রেতার কাছ থেকে কিনেছিলেন তাঁর খোঁজ চলছে।