
জলপাইগুড়ি: ভোটের দামামা বাজতেই কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছে কমবেশি সব রাজনৈতিক দলই। রাজ্যজুড়ে পরিবর্তন সংকল্প যাত্রা করছে বিজেপি। জুড়ছে উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ। আগামী ২৯ নভেম্বর চ্যাংড়াবান্ধায় অনুষ্ঠিত বিজেপির পরিবর্তন সংকল্প যাত্রা হওয়ার কথা। উপস্থিত থাকার কথা খোদ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। থাকবেন আরও এক ঝাঁক নেতা। প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে পুরো মাত্রায়। কিন্তু অনুমতি নিয়ে চলছে টানাপোড়েন। অনুমতি দেয়নি কোচবিহার জেলা পুলিশ। এমনটাই অভিযোগ বিজেপির। ঘটনাকে কেন্দ্র জেলার রাজনৈতিক মহল তো বটেই রাজ্য-রাজনীতিতেও চাপানউতোর শুরু হয়েছে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকার পরেও কেন অনুমতি দেবে না পুলিশ? প্রশ্ন তুলছে বিজেপি।
বিজেপির দলীয় নেতৃত্বের দাবি, মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশ অনুমতি না দেওয়ার পাশাপাশি লিখিত যে আবেদন করা হয়েছিল তার রিসিভ কপিও দেওয়া হয়নি। তাতেই ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে পদ্ম শিবিরের অন্দরে। প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে সরব হয়েছেন দলের নেতারা। এবার এই ইস্যুতে তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টেরও দ্বারস্থ হচ্ছেন বলে জানাচ্ছেন।
তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলার সাধারণ সম্পাদক দধিরাম রায়। তাঁর দাবি, শুভেন্দু অধিকারীর জনপ্রিয়তাকে ভয় পাচ্ছে তৃণমূল, স্থানীয় প্রশাসন। তাই ইচ্ছাকৃতভাবে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। তাঁর সাফ কথা, পুলিশের তরফে কোনও সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের দ্বারস্থ হচ্ছে বলে খবর। দাখিল রিট পিটিশন। বৃহস্পতিবার সেই মামলার হিয়ারিং হওয়ার কথা রয়েছে। এখন সেখানে আদালত কী নির্দেশ দেয় সেদিকেই তাকিয়ে বিজেপি।