Jalpaiguri: উত্তরবঙ্গে বেআইনি বাজি কারবারিদের দৌরাত্ম্য রুখতে বড় অভিযান পুলিশের, উদ্ধার কয়েক লক্ষ টাকার বাজি
Jalpaiguri: এদিন বেআইনি বাজি মজুতদারদের ডেরায় অভিযানের পাশাপাশি একাধিক লাইসেন্সপ্রাপ্ত বাজির দোকানেও হানা দেয় পুলিশ। সেখানে কোনও নিষিদ্ধ বাজি তোলা হয়েছে কি না সে বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হয়।
জলপাইগুড়ি: বিরোধীদের অভিযোগ এগরা ঘটনা থেকে শিক্ষা না নেওয়াতেই ফের ঘটেছে দত্তপুকুরের ঘটনা। বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে প্রাণ গিয়েছে ৯ জনের। যদিও এ ঘটনার পরেই যেন নতুন করে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। দক্ষিণবঙ্গ (South Bengal) থেকে উত্তরবঙ্গ, দিকে দিকে বেআইনি বাজি কারখানায় শুরু হয়েছে তল্লাশি। লাইসেন্স ছাড়াই জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) শহরের একাধিক জায়গায় নিষিদ্ধ শব্দবাজি মজুত করা হয়েছে। খবর এসেছিল পুলিশের কাছে। অভিযোগ পেতেই নড়েচড়ে বসল জেলা পুলিশ। মঙ্গলবার বিকালে শহরের দিনবাজার, কামার পাড়া সহ একাধিক জায়গায় বেআইনি বাজির গুদামে অভিযান চালাল পুলিশ। বেশিরভাগ জায়গায় থেকে নিষিদ্ধ শব্দবাজি পাওয়া যায়। সমস্ত বাজিই বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর বাজেয়াপ্ত বাজির বাজার মূল্য প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা।
এদিন বেআইনি বাজি মজুতদারদের ডেরায় অভিযানের পাশাপাশি একাধিক লাইসেন্সপ্রাপ্ত বাজির দোকানেও হানা দেয় পুলিশ। সেখানে কোনও নিষিদ্ধ বাজি তোলা হয়েছে কি না সে বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সন্দীপ সেন, ডিএসপি হেড কোয়ার্টার সমীর পাল ও আইসি অর্ঘ্য সরকারের নেতৃত্বে চলে অভিযান। একইসঙ্গে যে লাইসেন্সপ্রাপ্ত বাজির দোকানের লাইসেন্সের নবীকরণ হয়নি সেই দোকানগুলিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
যদিও ব্যবসায়ীদের দাবি, প্রায় কুড়ি বছর ধরে তাঁরা লাইসেন্স নিয়ে আতসবাজির ব্যবসা করছেন। কিন্তু ২০২১ সালের পর থেকে বাজি ব্যবসার লাইসেন্সের নবীকরণ করা হচ্ছে না। তাতেই বেড়েছে সমস্যা। এ কথা তাঁরা জানিয়েছেন পুলিশকেও। আতসবাজি ব্যবসায়ী আনন্দ কুমার কানোরিয়া বলেন, “আমাদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক হয়েছে। রাজ্য পর্যায়ের আলোচনা চলছে। কিন্তু আজকে পুলিশ দোকান বন্ধ করে দিল। আমাদের বলা হয় লাইসেন্সের নবীকরণ না হওয়া পর্যন্ত দোকান বন্ধ রাখতে হবে।” ডিএসপি হেড কোয়ার্টার সমীর পাল বলেন, “প্রচুর বাজি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। আইনি পদক্ষেপ করা হবে।”