Land Occupied: নদী না ময়লার স্তুপ বোঝা দায়! লাগাতার আবর্জনা ফেলে নদী বুজিয়ে ফেলার অভিযোগ
Dhupguri: সূত্রের খবর, ধূপগুড়ি পৌরসভার যে সমস্ত নোংরা ফেলার গাড়ি, ঠেলা রয়েছে সেগুলিতে করে ময়লা আবর্জনা নিয়ে এসে দীর্ঘদিন থেকে বামনী নদীতে ফেলা হচ্ছিল।
ধূপগুড়ি: ফের বেআইনিভাবে নদী ভরাটের অভিযোগ। শুধু তাই নয়, নদী ভরাট করে দখলের চেষ্টা করার অভিযোগও উঠেছে। ধূপগুড়ি পুরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা।
অভিযোগ, জলপাইগুড়ি পুরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড এবং দু’নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া বামনি নদী। সেই নদীতেই দীর্ঘদিন ধরে নোংরা আর্বজনা ও নির্মাণ সামগ্রী ফেলা হচ্ছে। যার ফলে একদিকে যেমন নদীর গতিপথ অবরুদ্ধ হচ্ছে, ঠিক তেমনই ছড়াচ্ছে দূষণ। যার জেরে ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা।
সূত্রের খবর, ধূপগুড়ি পৌরসভার যে সমস্ত নোংরা ফেলার গাড়ি, ঠেলা রয়েছে সেগুলিতে করে ময়লা আবর্জনা নিয়ে এসে দীর্ঘদিন থেকে বামনী নদীতে ফেলা হচ্ছিল। বৃহস্পতিবারও ঠিক একই ভাবে ট্রাক্টর ও ঠেলাগাড়িতে করে মাটি এবং নোংরা আবর্জনা নিয়ে এসে ফেলা হচ্ছিল নদীতে। সেই মুহূর্তেই স্থানীয় বাসিন্দারা গাড়িগুলিকে আটক করে দেন। তারপর রীতিমতো বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরসভার সমস্ত ময়লা ফেলার গাড়িতে করে শহরের নোংরা আবর্জনা এবং বিভিন্ন জায়গার মাটি এনে নদীতে ফেলা হচ্ছে দীর্ঘদিন থেকে। এতটাই পরিমাণে ফেলা হয়েছে গত কয়েকদিনে নদীর গতিপথ অবরুদ্ধ হতে বসেছে। পাশাপাশি নদীতে ফেলা নোংরা আবর্জনা ও পচা দুর্গন্ধের জেরে বসবাস করা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে এলাকার বাসিন্দাদের।
রাজেশ কুমার সিং বলেন, “অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে অবগত রয়েছি। যারা এই কাজ করছেন তাঁদের বিরুদ্ধে বলা হয়েছে কাজগুলি যেন বন্ধ করা হয়। তারপরও কিছু করলে পুরসভা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
উল্লেখ্য, একদম দুই পাড়ার মধ্যে দিয়ে বয়ে গেছে নদীটি। আর সেই নদীতেই ফেলা হচ্ছে নোংরা আবর্জনা। যার ফলে ছড়াচ্ছে দূষণ এবং দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।