AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

School Reopens: TV9 বাংলার খবরের জের! সরকারি বিধি উপেক্ষা করে চলছিল পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস, ক্ষমা চাইলেন প্রধান শিক্ষক

COVID Protocol: গতকাল ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এতেই পড়ে যায় শোরগোল। জানাজানি হয়ে যায় গোটা এলাকায়। এমন খবর সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ

School Reopens: TV9 বাংলার খবরের জের! সরকারি বিধি উপেক্ষা করে চলছিল পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস, ক্ষমা চাইলেন প্রধান শিক্ষক
রমরমিয়ে চলছে টিউশন ক্লাস, নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Dec 01, 2021 | 11:00 PM
Share

জলপাইগুড়ি: কোভিড-কাঁটায় দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল স্কুল-কলেজ। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও শুধুমাত্র নবম,দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির জন্য অফলাইন ক্লাস চালু হয়েছিল। কিন্তু, জলপাইগুড়ির একটি স্কুলে সরকারি বিধিকে (COVID 19) অমান্য করে পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস করানোর খবর উঠে আসে TV9-এ। সংবাদমাধ্য়মে সেই খবর প্রচার হতেই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। পাশাপাশি ক্ষমা চাইলেন জলপাইগুড়ির ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক।

প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রে খবর, সরকারি বিধি অমান্য করে কেন এমন এভাবে পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস করানো হচ্ছিল তা নিয়ে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে শোকজ় করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর দিতে বলা হয়। উত্তরে, ওই প্রধান শিক্ষক নিজে ক্ষমা চান ও জানান তাঁর ভুল হয়েছে। এরকম ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেদিকে যথেষ্ট নজর রাখা হবে। ঘটনায় জলপাইগুড়ি প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান  লক্ষ্য মোহন রায় বলেন, ” যেহেতু প্রধান শিক্ষক নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন, তাই আমরা তাঁকে মার্জনা করেছি। তবে একইসঙ্গে ওই স্কুলের দিকে আমাদের নজর থাকবে। ভবিষত্যে যাতে কেউ এমন কাজ না করতে পারেন।”

জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বাহাদুর অঞ্চলের সদর পশ্চিম মন্ডলের নাউয়া পাড়ায় ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রীতিমত বেঞ্চ পেতে পড়তে দেখা গিয়ছে পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়াদের। চলে পঠন-পাঠনও। অভিযোগ উঠছে, রমরমিয়ে চলছে টিউশন ক্লাস। নেই কোনও কোভিড বিধি। একই বেঞ্চে বসে রেয়েছে অনেক শিশু। তাদের কারও মুখে নেই মাস্ক, নেই কোনও সামাজিক দূরত্ব।

এরপর গতকাল ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এতেই পড়ে যায় শোরগোল। জানাজানি হয়ে যায় গোটা এলাকায়। এমন খবর সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। স্কুল ইন্সপেক্টরকে তদন্তের নির্দেশ দেবার পাশাপাশি প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান লক্ষ মোহন রায়। বলেন, “সরকারের তরফে প্রাথমিক বিভাগ তো দূ্রের কথা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল খোলার কোনও নির্দেশ আসেনি। কিন্তু এরপরও কোনও স্কুল যদি খুলে থাকে অতি উৎসাহে সেটি নিশ্চয় সরকারি নীতি অমান্য করছে। সংবাদমাধ্যম থেকে খবর পেয়ে আমি এসআইকে সংশ্লিষ্ট জায়গায় পাঠিয়েছি। সরকারি বা বেসরকারি প্রতিটি বিষয়ই আমরা তদন্ত করে দেখব। কারণ করোনা এখনও কমেনি। তাই প্রত্যেকের সচেতনতা এখনও কাম্য। এইরকম যদি কিছু হয়ে থাকে তার ব্যবস্থা অবশ্যই নেওয়া হবে।”

আরও পড়ুন: Visva Bharati University: ‘বিদ্যুত্‍-কালে’ কমছে মান, NAAC-এর মূল্যায়নে ক্রমেই নিম্নমুখী বিশ্বভারতী