‘মঞ্চে’ মমতা, আসন ছাড়লেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা!
21 July: বানারহাট ব্লকের সাকোয়াঝোরার ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে অনুষ্ঠিত হয় শহিদ দিবস। তবে, একই এলাকায় দুইভাবে পালিত হয় শহিদ দিবস।
জলপাইগুড়ি: অতিমারীর জেরে ভার্চুয়ালি পালিত হয়েছে তৃণমূলের (TMC) শহিদ দিবস। সেই শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানেই ফের প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। বুধবার, শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখতে উঠলেই একে একে আসন ছেড়ে বেরিয়ে যান তৃণমূল নেতাকর্মীরা। চাঞ্চল্য়কর ঘটনাটি ঘটেছে ডুয়ার্সের গয়েরকাটা এলাকায়।
এদিন, বানারহাট ব্লকের সাকোয়াঝোরার ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে অনুষ্ঠিত হয় শহিদ দিবস। তবে, একই এলাকায় দুইভাবে পালিত হয় শহিদ দিবস। একটি অনুষ্ঠান তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে গয়েরকাটা দলীয় কার্যালয়ে আয়োজন করা হয়। অপর অনুষ্ঠানটি ধীরেন দোকান এলাকায় আয়োজন করে তৃণমূল যুব কংগ্রেস। গয়েরকাটার অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালে তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমোর বক্তব্য শুনতে জায়ান্ট স্ক্রিন লাগানো হয়। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ শুরু হতেই চেয়ার ছেড়ে একে একে চলে যান তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা। আর এতেই ফের প্রকাশ্য়ে চলে আসে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল এমনটাই দাবি বিরোধীদের।
বিরোধী শিবির সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীকে মানেন না তাঁর দলের লোকেরাই। তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই এই ঘটনা বলে দাবি সিপিএম নেতৃত্বের। পাল্টা সাফাইয়ের সুর শাসক শিবিরের গলায়। তৃণমূল নেতা গোপাল চক্রবর্তী স্পষ্টই বলেন, “এসব বিরোধীদের মনগড়া কথা। এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। সকলে দলেরই অন্য কর্মসূচিতে ব্যস্ত ছিল। তাই অনেকে আসতে পারেননি।” প্রায় একই কথা বলেছেন অপর তৃণমূল নেতা বিরাজ লকরা। তাঁর দাবি, দলে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। যেহেতু, এদিন ব্লকে ব্লকে বুথে বুথে অনুষ্ঠান হচ্ছে তাই সকলে সব জায়গায় উপস্থিত থাকতে পারছেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখেই সকলে দল করেন। তাঁর আদর্শই পাথেয় বলে দাবি বিরাজ লকরার। আরও পড়ুন: ‘বিড়ি খাচ্ছিল ভাইপো, সেইসময়…’ জগদ্দলে শ্যুটআউটে গুলিবিদ্ধ কিশোর!