‘বিড়ি খাচ্ছিল ভাইপো, সেইসময়…’ জগদ্দলে শ্যুটআউটে গুলিবিদ্ধ কিশোর!

Shootout in Jagatdal: আহত কিশোরের পরিবার ও স্থানীয়দের অভিযোগ,  বেশ কিছুদিন ধরেই নতুন গ্রামের একটি মনসা মন্দির নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়। এলাকার কিছু যুবক দাবি করে মন্দির  সরিয়ে সেখানে ক্লাবঘর তৈরি করা হবে।

'বিড়ি খাচ্ছিল ভাইপো, সেইসময়...' জগদ্দলে শ্যুটআউটে গুলিবিদ্ধ কিশোর!
বাঁদিকে সেই মন্দির, ডানদিকে আহত কিশোর
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 21, 2021 | 3:56 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: সন্ত্রাস অব্যাহত অর্জুন গড়ে। মন্দির প্রাঙ্গণ নিয়ে বচসার জেরে জগদ্দলে চলল গুলি। গুরুতর জখম এক কিশোর। মন্দির নিয়ে বচসার জেরেই এই হামলা বলে অভিযোগ আহত কিশোরের। সরোজ রায় নামে গুলিবিদ্ধ ওই কিশোর আর জি কর হাসপাতালে চিকিত্‍সাধীন। ঘটনায় উত্তপ্ত এলাকা।

আহত কিশোরের পরিবার ও স্থানীয়দের অভিযোগ,  বেশ কিছুদিন ধরেই নতুন গ্রামের একটি মনসা মন্দির নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়। এলাকার কিছু যুবক দাবি করে মন্দির  সরিয়ে সেখানে ক্লাবঘর তৈরি করা হবে। কিন্তু স্থানীয়দের দাবি, মন্দিররের জায়গায় মন্দিরই থাকবে। কোনও ক্লাবঘর তৈরি করা যাবে না। স্থানীয়দের দাবিকে সমর্থন করেছিলেন ওই আহত কিশোরের পরিবারও।  এই নিয়ে উভয়পক্ষে বচসা হয়। মঙ্গলবার রাতে, যখন আহত কিশোর সরোজ রায়  ঘরের বাইরে আসেন তখন তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। সরোজের ডান হাতে ও পাঁজরায় গুলি লাগে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সরোজকে প্রথমে গোলঘর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে আর জি কর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

জখম কিশোরের কাকার কথায়, “যারা গুলি করেছে তারা কেউ এলাকার ছেলে নয়। বেশ কিছুদিন থেকেই এদের নজর পড়েছে মন্দিরটার উপর। আমরা বলেছি আমরা ওখানে ক্লাব করতে দেব না। এই নিয়ে ঝামেলা লেগেই ছিল। মঙ্গলবার রাতে আমার ভাইপো বিড়ি খেতে বাইরে আসে। তখন দশটা বেজে গিয়েছে। সেইসময় ওকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ওর ডানহাতে আর পাঁজরে গুলি লেগেছে।”

স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের কথায়, ” বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে বেশ কিছু সমাজ বিরোধী দুষ্কৃতীদের আটক করা হয়েছিল। কোভিড কালে তারা সব ছাড়া পেয়ে গিয়েছে। তাদেরই কেউ এই কাজ করেছে। আমি জগদ্দল থানায় জানিয়েছি। পুলিশ সবটা খতিয়ে দেখবে। আমার ধারণা এরা বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতী। যারা দোষী তাদের যোগ্য শাস্তি হবে।”

উল্লেখ্য, বরাবরই ‘সংবেদনশীল’ এলাকা বলে পরিচিত ভাটপাড়া-জগদ্দল ও ব্যারাকপুর চত্বর। গুলিবর্ষণ বোমাবাজি যেন এখানকার নিত্য়দিনের ঘটনা। ব্যারাকপুর শিল্পনগরীর নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে থানা সংখ্যা বাড়াতে চেয়ে নবান্নে চিঠি দিয়েছে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। আরও পড়ুন: ‘সেই যে সকালে খেয়ে বেরল মানুষটা, আর ফেরেনি’, কাঁদছেন স্ত্রী, ‘অপহৃত’ তৃণমূল নেতা!