Maynaguri: শুভেন্দু গিয়ে খাট ‘ভেঙেছিলেন’, এবার ময়নাগুড়ির নির্যাতিতার পরিবারকে নতুন খাট কিনে দিল তৃণমূল

TMC in Maynaguri: শুক্রবারের সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই শনিবার দুপুরে ওই বাড়িতে একটি নতুন খাট কিনে নিয়ে হাজির হন জলপাইগুড়ি জেলার যুব তৃণমূল জেলা সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়।

Maynaguri: শুভেন্দু গিয়ে খাট 'ভেঙেছিলেন', এবার ময়নাগুড়ির নির্যাতিতার পরিবারকে নতুন খাট কিনে দিল তৃণমূল
খাট নিয়ে শুরু রাজনীতি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 30, 2022 | 6:08 PM

ময়নাগুড়ি : ময়নাগুড়ির ঘটনায় এবার খাট নিয়ে শুরু হয়ে গেল রাজনীতি। শুক্রবার ময়নাগুড়ির মৃত নাবালিকার বাড়িতে খাট ভেঙে পড়ে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার ওই বাড়িতে নতুন খাট কিনে দিয়ে এলেন যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি। এমন ঘটনায় বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। শুক্রবার দলীয় বিধায়কদের ময়নাগুড়ির মৃত নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে তিনি ঘরে ঢুকে খাটে বসতে গেলে খাটটি ভেঙে যায়। ওই সময় পরে যাচ্ছিলেন শুভেন্দু বাবু। যদিও অন্যান্য বিধায়করা সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ধরে ফেলেন। অল্পের জন্য বড়সড় চোটের হাত থেকে রক্ষা পান শুভেন্দু অধিকারী। ওই বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিতও হয়েছিল।

শুক্রবারের সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই শনিবার দুপুরে ওই বাড়িতে একটি নতুন খাট কিনে নিয়ে হাজির হন জলপাইগুড়ি জেলার যুব তৃণমূল জেলা সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন তাঁর অনুগামীরাও। তিনি পরিবারের হাতে খাটটি তুলে দিয়ে তাদের সঙ্গে দেখা করেন এবং পরিবারের সদস্যদের অন্যান্য সাহায্যের আশ্বাসও দিয়ে আসেন। যুব তৃণমূল নেতা সৈকত চট্টোপাধ্যায় এই বিষয়ে বলেন, “এই পরিবারের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী দেখা করে কী উপকার করলেন, তা আমার জানা নেই। কিন্তু উনি এই বাড়ির একটা খাট ভেঙে দিয়ে গেলেন। আমি আজ এসে এই পরিবারের সঙ্গে দেখা করে একটি খাট দিয়ে গেলাম। পাশাপাশি এই পরিবারের ছোট একটি ছেলে আছে। তার পড়ার যাবতীয় খরচ বহন করার পাশাপাশি সে যদি জলপাইগুড়ির কোনও স্কুলে পড়তে চায় আমি তাকে ভর্তির ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো। এছাড়া এই পরিবারের যদি অন্য কিছু সাহায্যের কথা বলে, আমি নিশ্চয়ই সেই সাহায্য করব।”

যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতির আরও বক্তব্য, “শুভেন্দু অধিকারী এখন বাংলার গোপাল ভাড়। এই পরিবার পুলিশের তদন্তে আস্থা প্রকাশ করেছে। তারপরও উনি এসে সিবিআই তদন্তের জন্য উস্কানি দিচ্ছেন।” ঘটনায় বিজেপি যুব মোর্চার জেলা সভাপতি পলেন ঘোষ বলেন, “এতদিন ধরে নির্যাতিতার পরিবারকে কোনও সাহায্য করতে পারল না তৃণমূল। এখন বিজেপি যাওয়ার পর রাজনীতি করতে ওই বাড়িতে গিয়েছেন তৃণমূল নেতা।”

আরও পড়ুন : KMC Electric Vehicle: খরচ সামাল দিতে এবার আসরে বৈদ্যুতিন গাড়ি? জেনে নিন কলকাতা পুরনিগমের নতুন ভাবনা