কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ‘জমি মাফিয়া’! জন বার্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ তৃণমূলের

TV9 Bangla Digital | Edited By: সৈকত দাস

Jul 11, 2021 | 6:07 PM

John Barla: জন বার্লার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে জমি দখলের অভিযোগ তুলে জলপাইগুড়ি জেলা শাসকের দারস্থ হলেন তৃনমূলের জেলা সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী। অভিযোগ পেয়ে জমির কাগজপত্র খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করল প্রশাসন।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জমি মাফিয়া! জন বার্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ তৃণমূলের
'রেল-রাজনীতি', ফাইলল চিত্র

Follow Us

জলপাইগুড়ি: ডুয়ার্স থেকে প্রথম কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা (John Barla)। এদিকে পৃথক উত্তরবঙ্গেক দাবি করা বার্লাকে প্রথম থেকেই আক্রমণ শানিয়ে আসছে তৃণমূল শিবির। গৌতম দেবের মতো নেতারা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বিচ্ছিনতাবাদী বলেও তোপ দেগেছেন। এবার জমি মাফিয়া বলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ শানাল তৃণমূল।

শুধু অভিযোগেই আটকে নেই তারা। বার্লার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে জমি দখলের অভিযোগ তুলে জলপাইগুড়ি জেলা শাসকের দারস্থ হলেন তৃনমূলের জেলা সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী। অভিযোগ পেয়ে জমির কাগজপত্র খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করল প্রশাসন।

সরকারি জমি দখল করে ডুয়ার্সের বানারহাট ব্লকের চামুর্চি এলাকায় অবৈধ ভাবে মার্কেট কমপ্লেক্স নির্মাণ করছেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা। তৃণমূলের অভিযোগ এমনই। আর এ নিয়ে শুক্রবার শুক্রবার জলপাইগুড়ি জেলাশাসকের দারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূল জেলা সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী। জানা গিয়েছে, তিনি স্বপারিষদ জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসুর সঙ্গে দেখা করে তাঁর হাতে একটি লিখিত অভিযোগ তুলে দিয়েছেন।

কী বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ?

জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট ব্লকের চামুর্চি মোড় থেকে পলাশবাড়ী চা-বাগান যাবার পথে একটি জমিতে বিশাল মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি হচ্ছে। তৃণমূলের অভিযোগ, ওই জমি সরকারি। যা নিজের প্রভাব খাটিয়ে দখল করেছেন জন বার্লা।

এই অভিযোগেই তৃণমূল জেলা সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যানী জানান, “একজন মানুষ সে সাংসদ হোক আর মন্ত্রী, তাঁকে আইন মেনে চলতেই হবে। আমি বানারহাট ব্লকের তৃণমূল নেতৃত্বের কাছ থেকে বেশ কিছুদিন ধরে অভিযোগ পাচ্ছিলাম যে সেখানে একটি সরকারি জমি দখল করে বিশাল মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি করা হচ্ছে। যার কাজ অনেক দূর এগিয়েও গিয়েছে। তাই আমরা জলপাইগুড়ি জেলাশাসকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করলাম। জেলাশাসক আমাকে আশ্বস্ত করেছেন যে এই বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন। তাঁর রিপোর্টের ভিত্তিতে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ করব।”

অপরদিকে জন বার্লার বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী দাবি, “বার্লা একজন চা শ্রমিক। তাঁকে মন্ত্রী করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাই তৃণমূল প্রতিহিংসার রাজনীতি করতে ময়দানে নেমেছে। এই বাড়ি তো একদিনে তৈরি হয়নি! এতদিন প্রশাসন কী করছিল? তৃণমূল নেতারা প্রচুর সরকারি জমি বিক্রি করে নিজেদের পেট মোটা করছে। সেই ব্যাপারে প্রশাসন নিশ্চুপ কেন?”

এদিকে সূত্রের খবর, শুক্রবার তৃণমূল জেলা সভাপতির কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পাবার পর জমি সংক্রান্ত বিষয় খতিয়ে দেখতে ভূমি দফতরকে নির্দেশও দিয়ে দিয়েছেন জেলাশাসক। বিষয়টি নিয়ে জন বার্লার প্রতিক্রিয়া জানতে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। বেশ কয়েকবার তাঁর ফোন বেজে গেলেও কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। তাঁর প্রতিক্রিয়া পেলে প্রতিবেদনটি আপডেট করা হবে। আরও পড়ুন: এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে দু’গোষ্ঠীর সংঘর্ষ, উত্তপ্ত পানিহাটি 

 

Next Article