Cattle Smuggling: সীমান্তে গরুপাচার রুখতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে যাবে বিজেপি, জলপাইগুড়িতে জানালেন সুকান্ত মজুমদার
Sukanta Majumdar: সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, শুধু বিএসএফ দিয়ে এই অপরাধ রোখা সম্ভব নয়। এর জন্য রাজ্য পুলিশের সহযোগিতাও প্রয়োজন।
জলপাইগুড়ি: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বারবার গরুপাচারের অভিযোগ ওঠে। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলাকে করিডর হিসাবে ব্যবহার করে এই পাচারচক্র চলে বলে অভিযোগ। মালদহ, দিনাজপুর, কোচবিহারে এই অভিযোগ সবথেকে বেশি। এবার এই গরুপাচার রুখতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দ্বারস্থ হতে চলেছে বিজেপি। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গে গরুপাচার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তিনি জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্তকুমার রায়কে নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করবেন। কী পরিস্থিতি তা বিস্তারিত জানাবেন। প্রয়োজনে বিএসএফ (BSF) আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলবেন তিনি।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, “গরু পাচার নিয়ে আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে জানাচ্ছি। জয়ন্তদা এখানকার সাংসদ। ওনাকে অনুরোধ করব আমার সঙ্গে একদিন যেতে। আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে গিয়ে দেখা করব। আমরা লিখিতভাবে বিষয়টি জানাব। প্রয়োজনে আইজি বিএসএফের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়টি আটকাতেই হবে। বিএসএফের তরফে যতটা নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা যায় আমরা তা করব।”
একইসঙ্গে সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, শুধু বিএসএফ দিয়ে এই অপরাধ রোখা সম্ভব নয়। এর জন্য রাজ্য পুলিশের সহযোগিতাও প্রয়োজন। এ প্রসঙ্গে সুকান্তর সংযোজন, “পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া ১০০ শতাংশ এই পাচার বন্ধ করা সম্ভব নয়। কারণ, বিএসএফের একটা সীমা অবধি এক্তিয়ার রয়েছে। তার আগে গরু জমা করে রাখে। বহু জায়গায় সরকারের অনিচ্ছার জন্য কাঁটা তার দেওয়া যায়নি। রাতের বেলা হঠাৎ করে গরু নিয়ে দৌঁড়য়। অনেক সময় এরা বিএসএফের উপর হামলাও করে। কোচবিহারে সে ছবি দেখা গিয়েছে। কিন্তু পুলিশের কোনও সহযোগিতা আমরা পাই না।”
সম্প্রতি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক পাচারকারীর মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। ভারতীয় সীমান্তের ভিতরেই মাথাভাঙা-১ ব্লকের গোপালপুর গ্রামে একটি পাচারের ঘটনা ঘটছিল বলে অভিযোগ। সেই সময় বিষয়টি নজরে আসে বিএসএফের। ওই ব্যক্তিকে সতর্ক করা হলেও তিনি তা কানে না তোলায় বিএসএফ গুলি চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে তুমুল উত্তপ্ত হয় এলাকা। গত বছর নভেম্বরে কোচবিহারের সিতাই সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে তিনজনের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। এদের মধ্যে দু’জন বাংলাদেশি ও একজন ভারতীয় ছিলেন বলে জানা যায়।