Child Harassment: দরজা বন্ধ করে ‘নোংরামো’, ভরদুপুরে হাতেনাতে ধরলেন নাবালিকার মা

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

May 02, 2022 | 9:56 PM

Jalpaiguri: মহিলার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Child Harassment: দরজা বন্ধ করে নোংরামো, ভরদুপুরে হাতেনাতে ধরলেন নাবালিকার মা
দাদার বিরুদ্ধেই ধর্ষণের অভিযোগ। প্রতীকী চিত্র।

Follow Us

জলপাইগুড়ি: এবার এক ১২ বছরের নাবালিকাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ। সেই ঘটনায় নাম জড়াল ৫২ বছরের এক প্রৌঢ়ের। ছোট্ট মেয়েটির সঙ্গে কুকর্ম করার ফন্দি করেছিলেন ওই ব্যক্তি। চেষ্টাও করেন। তবে বড় বিপদ ঘটার আগে ওই নাবালিকার মা চিৎকার করতে শুরু করেন। ওই মহিলার আর্তনাদ শুনে ছুটে আসেন এলাকার লোকজন। হাতেনাতে ধরে ফেলে অভিযুক্তকে। অভিযোগ, এর পর জুতোপেটা করে ওই ব্যক্তিকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের আওতাধীন স্থানীয় ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কিছুদিন আগেই জেলার ময়নাগুড়িতে এক নাবালিকার মৃত্যুর ঘটনা গোটা রাজ্যকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। সেই ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। এরইমধ্যে এবার রাজগঞ্জ ব্লকে নাবালিকার সঙ্গে নোংরামোর চেষ্টার অভিযোগ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই প্রৌঢ় নাবালিকার পাড়াতেই থাকেন। পেশায় টোটো চালক। সোমবার দুপুরে ওই নাবালিকা বাড়িতে একা ছিল। সেই সুযোগেই ওই ব্যক্তি ঘরে ঢোকেন বলে অভিযোগ। এরপরই ধারাল অস্ত্র বের করেন। ছোট্ট মেয়ে তা দেখেই ভয় পেয়ে যায়। অভিযোগ, শুধু সোমবার নয়, দিনের পর দিন এই ঘটনা ঘটেছে। ভয়ে নাবালিকা কিছু বলতে পারেনি। তার মা কাজ করেন। ঘটনাচক্রে এদিন ওই মহিলা দুপুরেই বাড়ি ফিরে যান।

অভিযোগ, ঘরে ঢুকেই হাতেনাতে ধরে ফেলেন ওই প্রৌঢ়কে। এরপরই গ্রামবাসী এসে ওই ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ। পুলিশের হাতে তুলে দেন। ওই নাবালিকার মায়ের কথায়, “আমি দিনমজুরের কাজ করি। আজ কাজ পাইনি বলে দুপুরেই বাড়ি চলে যাই। দেখি ঘরের দরজা বন্ধ। এরপরই দরজা ধাক্কাধাক্কি করলে দেখি চেনা লোকটা ছুটে পালাচ্ছে। আমিও চিৎকার শুরু করি। তাতে লোকজন জড়ো হয়ে যান। পরে মেয়ের কাছে সমস্ত কথা জানতে পারি।” ওই মহিলার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ধৃতকে আদালতে তোলা হবে।

আরও পড়ুন: Attempt to Murder: স্লিভলেস নীল টপ ভাসছে রক্তে, মেসের সামনে পড়ে রয়েছেন তরুণী… ভরসন্ধ্যায় কলেজ ছাত্রীকে কুপিয়ে ‘খুন’

Next Article