AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Dhupguri: ধর্নায় বসে দাবি আদায়, প্রেমিকের হাতে মেয়েকে তুলে দিতে বাধ্য় হলেন প্রেমিকার বাবা

জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়িতে প্রেমিকার বাড়ির সামনে ধর্নায় বসে অবশেষে বিয়ের সম্মতি আদায় করলেন প্রেমিক।

Dhupguri: ধর্নায় বসে দাবি আদায়, প্রেমিকের হাতে মেয়েকে তুলে দিতে বাধ্য় হলেন প্রেমিকার বাবা
বিবাহের পর সঞ্জিত ও লক্ষ্মী
| Edited By: | Updated on: May 10, 2022 | 6:43 PM
Share

ধূপগুড়ি: ৬ বছরের প্রেম। কিন্তু প্রেমিকার পরিবারের বাধায় ভেস্তে যাচ্ছিল সম্পর্ক। উপায় না দেখে নাছোড়বান্দা প্রেমিক (Boyfriend) ধর্নায় বসেছিলেন প্রেমিকার বাড়ির সামনে। সেই ধর্না এনে দিল সাফল্য়। মন গলল মেয়ের বাবার। অবশেষে বিয়েতে রাজি হলেন প্রেমিকার (Girlfriend) বাবা। তার পরই তড়িঘড়ি চার হাত এক হল। মঙ্গলবার এমনই ঘটনার সাক্ষী ধূপগুড়ির (Dhupguri) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা।

জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সঞ্জিত রায়। ওই এলাকারই লক্ষ্মী রায়ের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক আছে। সঞ্জিতের দাবি, প্রায় ৬ বছর ধরে তাঁর সঙ্গে লক্ষ্মীর সম্পর্ক আছে। নিয়মিত কথাবার্তাও হয় তাঁদের মধ্য়ে। কিন্তু সম্প্রতি লক্ষ্মীর অন্য়ত্র বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছিল তাঁর পরিবার। সঞ্জিতের পরিবারের তরফে বিয়ের প্রস্তাব দিলেও তাতে রাজি ছিলেন না লক্ষ্মীর বাবা। এর পরই লক্ষ্মী প্রেমিক সঞ্জিতকে বলেন তাঁকে বাড়ি থেকে নিয়ে যেতে। সেই মতো সোমবার লক্ষ্মীর বাড়ির সামনে উপস্থিত হন সঞ্জিত। গলায় প্রেমিকার ছবি এঁটে তাঁর বাড়ির সামনে বসে পড়েন তিনি। বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই ধর্নায় বসেছিলেন তিনি। কিন্তু পাত্তা দেননি লক্ষ্মীর পরিবার।

কিন্তু সঞ্জিতের নাছোড়বান্দা মনোভাবে নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসতে রাজি হন লক্ষ্মীর বাবা। প্রেমিকের ধনুকভাঙা পণ ও এলাকার জনপ্রতিনিধিদের মধ্য়স্থতায় হৃদয় গলে প্রেমিকার বাবার। এবং বিয়েতে রাজি হন তিনি। অবশেষে মঙ্গলবার ভোররাতে তড়িঘড়ি বিয়ে দেওয়া হয় সঞ্জিত এবং লক্ষ্মীর। এলাকার বাসিন্দা, স্থানীয় কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে চার হাত এক হয়। মালাবদল করে লক্ষ্মীকে সিঁথি সিঁদুরে রাঙিয়ে দেন সঞ্জিত। মঙ্গলবারই ওই ২জনের বউভাতের আয়োজন করা হয়েছে। ৬ বছরের প্রেমের এই পরিণতিতে খুশি এলাকার বাসিন্দারাও।

বিযের পর প্রেমিক সঞ্জিত রায় বলেছেন, “দু’জনের বিয়ে হওয়ায় আমি খুব খুশি। ওর পরিবারের লোকেরা বিষয়টি আগে মেনে নিলে আমাকে ধর্নায় বসতে হত না। দুই পরিবারকে এক জায়গায় নিয়ে এসে সবাই মিলে ভাল থাকা আমাদের লক্ষ্য়।” মনের মানুষের সঙ্গে বিয়ে হওয়ায় খুশি লক্ষ্মী। এই ঘটনাক্রমে চোখের জলকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি তিনি। এ নিয়ে তিনি বলেছেন, “আমাদের বিয়েটা চাইছিলাম। কিন্তু এমনভাবে হোক সেটা চাইনি। হয়তো বাবা মায়ের মনে আজ আঘাত দিয়ে ফেললাম।”

প্রেমিকার বাড়িতে ধর্নায় বসে অবশেষে দাবি আদায় করে ছাড়লেন ধূপগুড়ির সঞ্জিত রায়। কয়েক বছর আগে ধূপগুড়ি কলেজপাড়া এলাকায় একই ভাবে ধর্নার মধ্য়ে দিয়েই লিপিকা এবং অনন্তের চার হাত এক হয়েছিল।