AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

জাল QR Code, একটা ট্রাক যেতেই বদলে যায় আরেক ট্রাকের নম্বর! কীভাবে কোটি কোটি টাকার বালি পাচায় হয়, দেখুন

Sand Smuggling: ইডির দাবি, কয়েকশো কোটির দুর্নীতি রয়েছে এই বালি পাচারের সঙ্গে। সুবর্ণরেখা নদীর বালির বিপুল চাহিদা থাকায়, সরকারি রেটের দ্বিগুণ করে, তা বিক্রি করা হয়।

জাল QR Code, একটা ট্রাক যেতেই বদলে যায় আরেক ট্রাকের নম্বর! কীভাবে কোটি কোটি টাকার বালি পাচায় হয়, দেখুন
কীভাবে হয় বালি পাচার?Image Credit: X
| Edited By: | Updated on: Sep 08, 2025 | 7:37 AM
Share

ঝাড়গ্রাম: বাংলায় আরও এক দুর্নীতি মামলার তদন্তে ইডি। এবার বালি পাচারের তদন্তে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। রাজ্যে বালি পাচারের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। নদীর পাড় থেকে বালি তুলে নিয়ে যাচ্ছে একের পর এক ট্রাক, এই দৃশ্য় অনেকের চেনা। তবে ঠিক কীভাবে হয় বালি পাচার, এবার সেই তথ্যই উঠে এল।

ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে জহিরুল আলি নামক এক বালি কারবারির বাড়িতে যেমন আজ সকালে (৮ সেপ্টেম্বর) তল্লাশি চালায় ইডি, তেমনই বেহালার জেমস লং সরণীতেও জিডি মাইনিং নামক একটি সংস্থার অফিসে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। জহিরুল যে সংস্থার জন্য বালি তুলত, সেটিই বেহালার এই সংস্থা। এমনটাই সূত্রের খবর।

সুবর্ণরেখা নদীর ঠিক পাশেই জহিরুলের বাড়ি। এই সুবর্ণরেখা নদী থেকেই বালি তুলে তা রাজ্যজুড়ে পাচার করা হত। সুবর্ণরেখার বালির গুণমান ভাল। এই বালিই কলকাতা সহ গোটা রাজ্য, প্রতিবেশী ঝাড়খণ্ডেও যায়। যে জায়গায় নদী থেকে বালি তুলে স্টক করা হয়, তার পাশে অস্থায়ী অফিস থাকে। সেখানেও তল্লাশি চলছে। অর্থাৎ কীভাবে, কোন কোন জায়গায় দুর্নীতি হয়, কীভাবে সরকারি রেট বাড়িয়ে বালি বিক্রি করা হয়, তা তদন্ত করে দেখছে ইডি।

ইডির দাবি, কয়েকশো কোটির দুর্নীতি রয়েছে এই বালি পাচারের সঙ্গে। সুবর্ণরেখা নদীর বালির বিপুল চাহিদা থাকায়, সরকারি রেটের দ্বিগুণ করে, তা বিক্রি করা হয়। মূলত বালি তোলার অনুমতি পত্র, যাকে সরকারি ভাষায় সিও বলা হয়। এই নথি জাল করে চলে দুর্নীতি। অনুমতি পত্রে কিউআর কোড থাকে, এই কিউআর কোড জাল করে অতিরিক্ত বালি বোঝাই করে পাচার করা হয়।

বালি তোলার অনুমতি পত্রে যে ট্রাকের নম্বর থাকে, সেখানেও দুর্নীতি হয়। একই নম্বর ব্যবহার করে আরও একাধিক ট্রাকে বালি তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। একই নম্বরের ৪ থেকে ৫টি ট্রাক প্রস্তুত রাখে পাচারকারীরা। একটি লরি বালি তুলে কিছুটা দূর চলে গেলেই, সেই নম্বর অন্য লরির সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়। এভাবেই কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হচ্ছে।