ED Raid in Jhargram: সাইকেল মিস্ত্রি থেকে তিনতলা প্রাসাদের মালিক! জহিরুলের বাড়িতে উদ্ধার লক্ষ লক্ষ টাকা, এখনও গুনছেন ইডি আধিকারিকরা
Sand Smuggling Case Update: এই প্রথম বালি পাচারের তদন্তে নেমেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আজ, সোমবার সকালেই (৮ সেপ্টেম্বর) ইডি আধিকারিকরা পৌঁছে যান ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে। সুবর্ণরেখা নদীর পাশেই বাড়ি শেখ জহিরুল আলির।

ঝাড়গ্রাম: বালি পাচারের তদন্তে নেমেই ইডি(ED)-র বড় ব্রেক-থ্রু। শেখ জহিরুল আলির বাড়ি থেকে উদ্ধার বিপুল টাকা। এখনও পর্যন্ত ১২ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এখনও টাকা গোনা চলছে। জহিরুলের বাড়ি, গাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে।
এই প্রথম বালি পাচারের তদন্তে নেমেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। আজ, সোমবার সকালেই (৮ সেপ্টেম্বর) ইডি আধিকারিকরা পৌঁছে যান ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে। সুবর্ণরেখা নদীর পাশেই বাড়ি শেখ জহিরুল আলির। তাঁর বালির ব্যবসা রয়েছে। এলাকাতেও বেশ প্রতিপত্তি তাঁর। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকে জহিরুলের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বা তাঁর অধীনে কাজ করে, তাই জহিরুলের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে নারাজ।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, মাত্র কয়েক বছরেই রকেট গতিতে উত্থান হয়েছে জহিরুলের। প্রথমে সাইকেল মিস্ত্রি ছিলেন জহিরুল। এরপর ভিলেজ পুলিশ হয়ে যান। সেখান থেকে রাতারাতি চাকরি ছেড়ে বালি তোলা ও সরবরাহের ব্যবসায় নামেন। এরপরই ফুলেফেঁপে ওঠে জহিরুলের সম্পত্তি। গোপীবল্লভপুরে যেখানে জহিরুলের বাড়ি, যেখানে অধিকাংশ বাড়িই একচালার। গরিব মানুষেরাই থাকেন। তার মাঝখানেই বিশালাকার তিনতলা বাড়ি জহিরুলের, যা চারপাশে সিসিটিভিতে মোড়া। কীভাবে মাত্র কয়েক বছরেই জহিরুলের এত বড় বাড়ি, গাড়ি হল, তা নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ এলাকাবাসী।
সকাল থেকেই তল্লাশি চলছে। ইডির আধিকারিকরা বিভিন্ন নথি খতিয়ে দেখছেন। জহিরুলের গাড়ির নথিও যাচাই করতে দেখা যায় ইডিকে। শেষ আপডেট অনুযায়ী, জহিরুলের বাড়িতে বিপুল নগদ অর্থ উদ্ধার হয়েছে। অন্তত ১২ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। এখনও টাকা গোনা হচ্ছে।
মূলত সুবর্ণরেখা নদী থেকে ভাল মানের বালি তুলে তা সরকারি নির্ধারিত দামের দ্বিগুণ দামেই কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন অংশ এবং ঝাড়খণ্ডে বালি রফতানি করত জহিরুল।
