Kurmi Movement: রাকেশ মাহাত-সহ ৮ জনের গ্রেফতারির প্রতিবাদে এখনও রুদ্ধ জঙ্গলমহল
Kurmi Movement: ধৃতদের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, খুনের চেষ্টা, সরকারি কর্মীদের মারধর, ষড়যন্ত্র-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। জামিন অযোগ্য ৬টি-সহ মোট ১৪ টি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
ঝাড়গ্রাম: কুড়মি সমাজের নেতাদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে ও তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার দাবিতে ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন এলাকায় কুড়মি সম্প্রদায় অধ্যুষিত গ্রামগুলিতে বিক্ষোভ মিছিল চলছে। কুড়মি সমাজের মানুষজন বিক্ষোভ মিছিলগুলিতে অংশগ্রহণ করেন। তাঁদের দাবি, মিথ্যা অভিযোগে কুড়মি সমাজের নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের নিঃশর্তে মুক্তি দিতে হবে এবং তা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। যার ফলে কুড়মি সম্প্রদায় অধ্যুষিত গ্রামগুলিতে সোমবার সকাল থেকেই ফের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল শুরু করেছে কুড়মি সমাজের প্রতিনিধিরা। তবে প্রতিটি গ্রামে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে বলে কুড়মি সমাজের সামাজিক সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গড়শালবনিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে হামলা ও ঘটনাচক্রে তারপরই কুড়মি নেতা তথা শিক্ষক রাজেশ মাহাত-সহ ৮ জনকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে ফুঁসছে জঙ্গলমহল এলাকা। ধৃতদের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, খুনের চেষ্টা, সরকারি কর্মীদের মারধর, ষড়যন্ত্র-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। জামিন অযোগ্য ৬টি-সহ মোট ১৪ টি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, শিক্ষক কুড়মি নেতা রাকেশ মাহাত উত্তরবঙ্গে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। তারও প্রতিবাদে চলছে আন্দোলন। তিনি বর্তমানে খড়্গপুরের বানাপুরে একটি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। তাঁকে উত্তরবঙ্গের একটি স্কুলে বদলি করা হয়েছে। তাঁকে পাঁচ দিনের মধ্যে পুরনো স্কুল ছাড়তে হবে। তার তিন দিনের মধ্যে নতুন স্কুলে যোগ দিতে হবে। তবে রাকেশের পাশে দাঁড়িয়ে আইনি লড়াইয়ের পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। “আমি বলব এই যে প্রতিহিংসাপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি আইনি লড়াই লড়ুন। যদি নিজে পারেন ঠিক আছে। তা না হলে আইনি লড়াইতে বিরোধী দলনেতার সাহায্য দরকার হলে, আমি করব।” বলাই বাহুল্য রাকেশ মাহাত-র পাশে শুভেন্দু অধিকারীর দাঁড়ানোর ঘটনায় এই আন্দোলন স্বাভাবিকভাবেই অন্য মাত্রা পেয়েছে।