AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘দলের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করলাম’, সভাপতি পদ ছেড়ে বললেন জিতেন্দ্র

পশ্চিম বর্ধমান: তৃণমূল জেলা সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। একইসঙ্গে দলের সঙ্গে সবরকম সম্পর্ক ছিন্ন করার কথাও ঘোষণা করলেন আসানসোলের (Asansole) এই দাপুটে নেতা। বৃহস্পতিবার প্রথমে পুরপ্রশাসক পদ থেকে ইস্তফা দেন জিতেন্দ্র। তার কিছুক্ষণ পরই সংবাদমাধ্যমের সামনে এসে তিনি বলেন, “আমি ভেবেছিলাম আগামিকাল দিদির সঙ্গে কথা বলব। কিন্তু পুরপ্রশাসকের দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়ার […]

'দলের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করলাম', সভাপতি পদ ছেড়ে বললেন জিতেন্দ্র
জিতেন্দ্র তিওয়ারি
| Updated on: Dec 17, 2020 | 6:25 PM
Share

পশ্চিম বর্ধমান: তৃণমূল জেলা সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। একইসঙ্গে দলের সঙ্গে সবরকম সম্পর্ক ছিন্ন করার কথাও ঘোষণা করলেন আসানসোলের (Asansole) এই দাপুটে নেতা। বৃহস্পতিবার প্রথমে পুরপ্রশাসক পদ থেকে ইস্তফা দেন জিতেন্দ্র। তার কিছুক্ষণ পরই সংবাদমাধ্যমের সামনে এসে তিনি বলেন, “আমি ভেবেছিলাম আগামিকাল দিদির সঙ্গে কথা বলব। কিন্তু পুরপ্রশাসকের দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরেই পাণ্ডবেশ্বরে দলীয় কার্যালয়ে হামলা হল। কলকাতার নির্দেশে এটা হচ্ছে। তাই আমি দলের জেলা সভাপতি পদ ও দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলাম।” অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারীর পর এবার তৃণমূল থেকে সরে দাঁড়ালেন জিতেন্দ্রও।

এদিন দুপুরে শুভেন্দু অধিকারীর তৃণমূল ছাড়ার খবর শিরোনামে আসতেই রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়। এরইমধ্যে জিতেন্দ্র তিওয়ারি জানান, আসানসোলের পুরপ্রশাসকের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন তিনি। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথাও বলবেন বলে তখন জানিয়েছিলেন। তারপর এক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের লাইমলাইটে জিতেন্দ্র। সাংবাদিকদের ডেকে জানান, পুরপ্রশাসকের পদ ও জেলা সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরেই পাণ্ডবেশ্বরে ভাঙচুর করা হয় তাঁর দলীয় কার্যালয়। এরপরই তাঁর মনে হয় দল তাঁকে আর চাইছে না। তাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটা নিয়েই নেন।

আরও পড়ুন: সরকারি পদ ছাড়লেন কর্নেল দীপ্তাংশু, ‘ঘর ওয়াপসি’ কি সময়ের অপেক্ষা

জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, “আমি তো ঠিক করেছিলাম আগামিকাল দিদির সঙ্গে দেখা করে আমার সব কথা বলব। তারপর উনি যা বলবেন সেটা করব। কিন্তু আজ প্রশাসক পদ ছাড়ার পরই আধ ঘণ্টাও কাটেনি একদল দুষ্কৃতী পাঠিয়ে আমার পাণ্ডবেশ্বরে যে বিধায়ক কার্যালয় তাতে ভাঙচুর করা হল। জিনিসপত্র তুলে নেওয়া হল। আমি বিশ্বাস করি কলকাতার নেতাদের অনুমতি ছাড়া এটা সম্ভব নয়। তাঁরাই এটা করিয়েছেন। তাঁরা চাইছেন না আমি দলে থাকি। তাই জেলা সভাপতি পদ এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আমার সমস্ত সম্পর্ক বিচ্ছেদ করেছি। ” মানুষ তাঁকে ভোট দিয়ে বিধায়ক করেছেন। শুনিয়ে রাখলেন, মানুষ চাইলে বিধায়ক পদও ছাড়তে রাজি তিনি।

আরও পড়ুন: ‘শুভেন্দুবাবুর সহায়তা কেন্দ্র’ গেরুয়া থেকে ফের নীল-সাদা, কার্যালয় পুনরুদ্ধার তৃণমূলের

জিতেন্দ্রর অভিযোগ, এদিন পুরপ্রশাসকের পদ ছাড়ার পর কিছুক্ষণের মধ্যেই খবর পান পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক কার্যালয়ে একদল দুষ্কৃতী হামলা চালিয়েছে। ‘মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার জন্য’ তাঁর ‘নিজের বানানো’ কার্যালয়ের এই অবস্থা মেনে নিতে পারেননি জিতেন্দ্র। কলকাতার নেতাদের নির্দেশ ছাড়া এটা সম্ভব নয় বলেই মনে করেন তিনি। এরপরই দল থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। জিতেন্দ্রর দাবি, আসানসোলের কথা বলাতেই তাঁর উপর এরকম আঘাত এসেছে। তিনি জনপ্রতিনিধি। তাই মানুষের পাশে না দাঁড়াতে পারলে তার তৃণমূলে থেকেও কোনও লাভ নেই। তাই সম্পর্ক ছিন্ন করার দিকেই ঝুঁকলেন তিনি।