‘আমি কৃতজ্ঞ’, তৃণমূল থেকে ইস্তফা দিয়ে মমতাকে চিঠি শুভেন্দুর
নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে নিজের পদত্যাগের কথা জানালেন।
কলকাতা: তৃণমূল ছাড়লেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে নিজের পদত্যাগের কথা জানালেন। লিখলেন, “আমি কৃতজ্ঞ।”
নেত্রীকে লেখা শুভেন্দুর চিঠি
চিঠিতে শুভেন্দু লিখেছেন, “আমি এই মুহূর্তে দল এবং দলের দেওয়া সমস্ত পদ ও দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিচ্ছি।” দলের কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে তিনি লিখেছেন, “দল আমাকে যেসব সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ দিয়েছিল তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। একজন সদস্য হিসাবে দলে আমি যে মূল্যবান সময় অতিবাহিত করেছি, আজীবন তা স্মরণে রাখব।”
যখন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ঘাসফুল প্রতীক ছাপা লেটারহেডে তাঁর দল ছাড়ার বার্তা পৌঁছেছে, তখন তমলুকের নিমতৌড়িতে সভা করছেন শুভেন্দু অধিকারী। সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক এই মঞ্চ থেকে শুভেন্দু এদিন বেশ কিছু ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা দিযেছেন। বলেছেন, “জনশক্তি রয়েছে, এটাই তো আসল শক্তি।” বস্তুত বুধবার তাঁর বিধায়ক পদ ছাড়ার পরই দলত্যাগের জল্পনা উঠেছিল তুঙ্গে। এক-দু’দিনের মধ্যেই যে এই পর্বের ‘ক্লাইম্যাক্স’ দেখা যাবে, তা মোটের উপর স্পষ্ট।
বুধবারই তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় পদত্যাগপত্র জমা দেন। ‘বিধিসম্মত’ না হওয়ার কারণে যখন তাঁর পদত্যাদপত্র গৃহীত হয়নি তখনই দল ছাড়ছেন জানিয়ে নেত্রীকে চিঠি দিলেন শুভেন্দু। আর এর মধ্যে দিয়েই বঙ্গ রাজনীতিতে শুভেন্দু-তৃণমূল পর্বের সমাপ্তি ঘটল বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কেন গৃহীত হল না শুভেন্দু অধিকারীর পদত্যাগপত্র?
অত্যন্ত প্রাসঙ্গিকভাবেই শুভেন্দু নিমতৌড়ির এদিনের সভা ‘বিশেষ গুত্বপূর্ণ’। এদিনের সভাতে উপস্থিত প্রত্যেক কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ছিল অত্যুৎসাহ চোখে পড়েছে। উদ্দীপনা ছিল চোখেমুখে। যখন বিধায়ক পদ থেকে তাঁর ইস্তফার বিষয়টি প্রকাশ্যে, তখন সভায় উপস্থিত এক সাংবাদিক এদিন শুভেন্দুকে প্রশ্ন করেন, “নিজেকে মুক্ত বলে মনে হচ্ছে?” তখনও অবশ্য তাঁর দল ছাড়ার খবর সামনে আসেনি। ফলে পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ অত্যন্ত সাবলীলভাবে প্রশ্নের উত্তর দেন একটি শব্দেই, ‘বন্দেমাতরম’। শেষ পর্যন্ত নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে ধোঁয়াশা বজায় রেখেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রকাশ্যে আসে দলীয় সদস্যপদ থেকে ইস্তফা চেয়ে নেত্রীকে লেখা তাঁর চিঠি। এবার ১৯ তারিখ মেদিনীপুরে অমিত শাহর সভায় তাঁর যোগদানের সম্ভাবনা সত্যি হলেই শুভেন্দু পর্ব নতুন বাঁক নেবে। এখন সেদিকেই তাকিয়ে বাংলার রাজনৈতিক মহল।