পূর্ব মেদিনীপুরে; বোমা ফেটে দুই তৃণমূল কর্মীর মৃত্য়ু। সোমবারের ঘটনার পর এখনও থমথমে খেজুরি। খেজুরী২ ব্লকের,পশ্চিম ভাঙ্গনবাড়ি ১৯৫ নং বুথ আজও জনশূন্য।
সোমবার থেকে আজ পর্যন্ত দুর্ঘটনাস্থলটি ঘিরে রাখা হয়েছে। এলকায় যেতে দেওয়া হচ্ছে না সাধারণ থেকে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের। যদিও রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গেই রয়েছে। গতকালের ঘটনার পর এখন দুই রাজনৈতিক দল একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছে। থমথমে রয়েছে এলাকা। বিজেপির অভিযোগ, আবারও অন্য এলকায় অশান্তি শুরু করেছে তৃণমূল। কর্মীদের মারধর শুরু করেছে শাসকদল, এমনই অভিযোগ করছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। অভিযোগ অস্বীকার করেছে ঘাসফুল শিবির।
মৃতের পরিবারের সদস্য়দের প্রতিক্রিয়া পাওয়া সম্ভব হয়নি। গ্রাম ঘিরে রাখা হয়েছে। দুই পক্ষের আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা চলছে তমলুক জেলা হাসপাতালে। পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি ২ নং ব্লকের একাধিক এলাকা সোমবার রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। খেজুরির জনকা অঞ্চলের ১৯৫ নম্বর পশ্চিম ভাঙ্গনমারী বুথে ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণে তৃণমূলের ২ কর্মীর মৃত্যু হয়।
জেলা তৃণমূল যুব সভাপতি জানান, এ নিয়ে পুঙ্খনাপুঙ্খ তদন্ত হবে। তবে বিজেপি বিধায়ক অভিযোগ করেন, ঘটনার পর থেকেই এলাকায় কাউকে ঢুকতে দওয়া হচ্ছে না। মঙ্গলবার সকালে বিজেপি নেতা কর্মীরা এলাকায় যাওয়ার উদ্যোগ নিতেই তাঁদের ওপর তৃণমূলের লোকজন চড়াও হন।
থানা থেকে কার্যত ঢিল ছোড়া দূরত্বে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। কিন্তু তাতে পুলিশ কেন কোনও ভূমিকা নিলা না? পুলিশের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। মূলত বিরোধীরাই সে প্রশ্ন তুলছেন।
ঘটনার সূত্রপাত নতুন বছরের প্রথম দিনে। গত ১ জানুয়ারি তৃণমূল কংগ্রেসে পার্টির প্রতিষ্ঠা দিবসে খেজুরি ২ নম্বর ব্লকের গোড়াহাট, কটকাদেবী চক গ্ৰামে রাতের অন্ধকারে বিজেপি কর্মীদের উপর তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ করেছে বিজেপি। তাদের অভিযোগ, বিভিন্ন এলাকা থেকে হার্মাদ বাহিনী নিয়ে কটকাদেবীচক গ্ৰামের বিজেপি কর্মী বুলা গিরিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তার পর রাতে লোহার রড, লাঠি দিয়ে তাঁর পা ভেঙে ঝোপের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এর পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। ফের ২ জানুয়ারি তৃণমূলের পঞ্চায়েত শিলাদিত্য বর, অমলেন্দু বর,সঞ্জয় বরদের নেতৃত্বে বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা হয় বলে অভিযোগ বিজেপির। তারপর দিন অর্থাৎ ৩ জানুয়ারি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা! গত কয়েকদিন ঘটনাপ্রবাহে উত্তপ্ত খেজুরি। মঙ্গলবার সকাল থেকে নতুন করে উত্তেজনা না ছড়ালেও পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে।