দু’পয়সার বিতর্ক: ‘সঠিক’ মন্তব্যে অনড় মহুয়া, ‘ক্ষমা’ চাইলেন মিমে
সাধারণত রসিকতা করতেই সোশ্য়াল মিডিয়ায় ব্যবহার হয় মিম। তাই প্রশ্ন উঠছে, কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) 'ক্ষমা' চাওয়ার আদৌ যৌক্তিকতা কতটা?
নদিয়া: ‘ক্ষমা’ চাইলেন ঠিকই। কিন্তু নিজের দু’পয়সার মন্তব্যে অনড় থেকে। তাও আবার মিম পোস্ট করে। সাধারণত রসিকতা করতেই সোশ্য়াল মিডিয়ায় ব্যবহার হয় মিম। তাই প্রশ্ন উঠছে, কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) ‘ক্ষমা’ চাওয়ার আদৌ যৌক্তিকতা কতটা?
সংবাদ মাধ্যমকে দু’পয়সার প্রেস বলে গত ২৪ ঘণ্টা ধরে বির্তকের কেন্দ্রে রয়েছেন মহুয়া মৈত্র। সেই প্রসঙ্গে এদিন টুইটারে ক্ষমা চেয়েও চাইলেন না তিনি। ‘আমি ক্ষমাপ্রার্থী’ লিখেছেন অবশ্যই। তবে যে ভাবে তিনি সেই টুইট করেছেন। ও তার সঙ্গে যে যে শব্দ সংযোজন করেছেন, তাতে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে নিজের মন্তব্য থেকে বিন্দুমাত্র পিছিয়ে আসতে নারাজ মহুয়া মৈত্র।
বিগত ২৪ ঘণ্টা ধরে চলা বিতর্ককে কার্যত এদিন আরও উস্কে দিয়েছেন তিনি। টুইটে এদিন সন্ধেবেলা একটি মিম পোস্ট করেছেন মহুয়া। যেখানে একদিকে দু’পয়সার একটি ছবি দেখা যাচ্ছে। পাশে লেখা, ‘কঠিন, বেদনাদায়ক এবং সঠিক কথা বলার জন্য আমি দুঃখিত।’ এই মিমটি পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘আমার মিম এডিট করার ক্ষমতা ক্রমশ বাড়ছে।’
My meme-editing skills are improving! pic.twitter.com/PyO69avwRi
— Mahua Moitra (@MahuaMoitra) December 7, 2020
মহুয়া বুঝিয়েই দিয়েছেন, তিনি গতকাল যে ভাষায় সংবাদ মাধ্যমকে আক্রমণ করেছিলেন, তার জন্য অনুতপ্ত তো নন-ই। উল্টে সেটা নিয়ে মিম পোস্ট করছেন তিনি। ‘আমি ক্ষমাপ্রার্থী’ লিখলেও সেটাও যে একপ্রকার ‘তামাশা’ করেছেন, তাও সহজেই বোঝা যাচ্ছে।
সংবাদ মাধ্যমকে কী বলেছিলেন মহুয়া? রবিবার নদীয়ার গয়েশপুরে তৃণমূলের কর্মিসভায় অংশ নিতে হাজির হন মহুয়া মৈত্র। কিন্তু সাংসদের সামনেই ‘বহিরাগত’ বিতর্ক নিয়ে তুমুল কোন্দল লাগে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে কিল-ঘুষি বর্ষণ হতে থাকে মহুয়ার সামনেই। তিনি কোনও মতে দুই পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে কাজ হয় না। এরপরই দলীয় কর্মসূচিতে সংবাদ মাধ্যমের উপস্থিতি নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভপ্রকাশ করতে দেখা যায় তাঁকে।
এই বৈঠকে মাইকে বক্তব্য রাখার সময় সংবাদমাধ্যমকে ‘দু’পয়সার প্রেস’ বলে উল্লেখ করেন লোকসভার এই জনপ্রিয় সাংসদ। তিনি বলেন, “কে এই দুই পয়সার প্রেসকে ভেতরে ডাকে? সরাও প্রেসকে এখান থেকে। কেন প্রেস ডাকো তোমরা দলের মিটিংয়ে। কর্মী বৈঠক হচ্ছে আর সবার পেপারে ও টিভিতে মুখ দেখানোর শখ।” সংবাদমাধ্যমকে তিনি কেন এমন আক্রমণ করলে তা জানতে চাওয়া হলে মহুয়ার জবাব ছিল, ‘আমি তো আপনাদের রেকর্ড করতে বলিনি।’