মালদহ: ডব্লুবিসিএস (WBCS) এর মতো কঠিন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার হার্ডল পেরিয়ে বিডিও (BDO), জয়েন্ট বিডিও -র মতো পদে চাকরি মেলে। বহু পরিশ্রম করে সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেন আমলা হওয়ার স্বপ্ন দেখা যুবক-যুবতী। অনেক শিক্ষককে দেখা গিয়েছে চাকরি ছেড়ে পরে বিসিএস অফিসার হয়েছেন। কিন্তু উলটো ছবি দেখা গেল মালদহের (Malda) বামনগোলায় (Bamongola)। এখানকার জয়েন্ট বিডিও (Joint BDO) ছিলেন আশিস নায়েক (Asish Nayek)। সম্প্রতি সেই কাজ থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন তিনি। কিন্তু তাঁর ইস্তফার কারণ দেখে চোখ কপালে উঠেছে অনেকের।
যে কারণে আশিসবাবু জয়েন্ট ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসারের চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেটাই অবাক করেছে অনেককে। তিনি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছেন, এই কারণ দর্শিয়ে জয়েন্ট বিডিও-র চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তাঁর সেই ইস্তফাপত্রও গ্রহণ করে নেওয়া হয়েছে।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কেন আমলার পদ ছেড়ে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন আশিসবাবু? ঘনিষ্ঠ মহলে আশিস নায়েেক অবশ্য জানিয়েছেন এটা তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এ নিয়ে বিতর্ক তৈরি করতে চাওয়া অনর্থক। তবে সংবাদমাধ্যমকে কিছু বলতে চাননি তিনি।
তবে মালদহের বামনগোলার জয়েন্ট বিডিওর দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার কাজে যোগ দেওয়া আশিস নায়েককে নিয়ে কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে ওয়াকিবহাল মহলে। প্রশাসনিক আধিকারিকের পদ থেকে সরে এসে একজন জয়েন্ট বিডিও শিক্ষকতায় যোগ দিচ্ছেন— এমন খবরে স্বাভাবিক ভাবেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়।
জয়েন্ট বিডিও-র চাকরি ছাড়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করে মাস ছয়েক আগে ইস্তফাপত্র দিয়েছিলেন আশিস নায়েক। সম্প্রতি সেই ইস্তফাপত্র গৃহিত হয়েছে। গত ৯ নভেম্বর রাজ্যের পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন দফতরের তরফে তাঁকে সে কথা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। স্কুলের চাকরি থেকে সরকারি আধিকারিকের কাজে যোগ দিয়েছেন অনেকেই। কিন্তু আশিস যেন উলটো স্রোতে হাঁটলেন। তাঁর এই সিদ্ধান্তে স্বাভাবিক ভাবেই হাজারও প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
এ নিয়ে জেলা শাসক রাজর্ষি মিত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বাড়ির কাছে শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছেন বলে আশিসবাবু বিডিও-র চাকরি ছেড়েছেন। তবে আর কোনও কারণ আছে কিনা তা তাঁর জানা নেই। এদিকে আশিসবাবু নিজে জানিয়েছেন এটা একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এ নিয়ে অযথা বিতর্কের কোনও জায়গা নেই। যদিও কৌতূহলীদের আগ্রহ তাতে কমছে না। কেন জয়েন্ট বিডিও-র পোস্ট ছেড়ে কেউ প্রাথমিক শিক্ষক হলেন, তা নিয়ে অনেকেরই কপালে ভাঁজ পড়েছে।
আরও পড়ুন: Dilip Ghosh: ‘ওঁরা ওয়াশিংটনে যান, রাষ্ট্রপুঞ্জেও যেতে পারেন,’ তৃণমূল সাংসদদের ধরনায় কটাক্ষ দিলীপের