Bangladeshi Hundi: নয়া ফন্দি ঢাকার? বাংলায় ঢুকে ৬ গুণ দাম দিয়ে জমি কিনছেন বাংলাদেশিরা!
Bangladeshi Hundi: কিন্তু মালদহর সীমান্তে একটা বাড়ি ১২ লক্ষ টাকায় কিনছেন কীভাবে? টাকা আসছে কোথা থেকে? তারও ব্যাখ্যা দিলেন তিনি। একটা বাড়ির দাম বাংলাদেশে ১০ লক্ষ টাকা হলে, ওই বাংলাদেশি পাঁচ লক্ষ টাকা অগ্রিম নিচ্ছেন দশ জনের কাছে। তাহলে তাঁর কাছে জমছে ৫০ লক্ষ টাকা। কিন্তু তিনি কাউকেই সেখানে রেজিস্ট্রি দিচ্ছেন না।
মালদহ: বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনের সদস্য ভারতে ঢুকতে শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের রিপোর্টে সে তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। মূলত, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে বাড়ছে আশঙ্কা। কিন্তু কেবল জঙ্গি নয়, অনুপ্রবেশকারীরাও ধীরে ধীরে বাংলার ভূখণ্ড দখল করেছেন। হচ্ছে কোটি কোটি টাকার লেনদেন। বাংলার ব্যবসায়ীদের ছাপিয়ে ব্যবসার মাধ্যমে কোটিপতি হচ্ছেন ওপার থেকে আসা ব্যবসায়ীরাই। হয়ে উঠছেন এলাকার প্রভাবশালী। প্রভাবশালী এতটাই, যে ২ লক্ষ টাকার জমি কিনছে ১২ লক্ষতে। আর কীভাবে গোটাটা হচ্ছে প্রশাসনের নাকের ডগায়, সেটারই ব্যাখ্যা দিলেন ইনকাম ট্যাক্স আইনজীবী।
৩৪ বছর ধরে ইনকাম ট্যাক্সের আইনজীবী দিয়ে কাজ করছেন মহম্মদ সেলিম উদ্দিন। অনুপ্রবেশকারীদের প্রভাব নিয়ে তিনি যা বললেন, তা চমকে ওঠার মতো। তিনি বললেন, “গত কয়েক বছরে মালদহে জমি বা বাড়ির দাম দ্বিগুণ কেন চার গুণ বেড়ে গিয়েছে। যাঁরা স্থানীয়, তাঁদের কেনার বাইরে। অনুুপ্রবেশকারীরা এখানে এসে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলেন। প্রথমে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন। পরে ব্যবসা শুরু করেন। পরে ধীরে ধীরে জমি বাড়ি কেনেন। সেটাও ৬ গুণ বেশি দাম দিয়ে। একটা জমির দাম যদি ২ লক্ষ টাকা নয়, সেটা ১২ লক্ষ টাকা দিয়ে কিনে নিচ্ছে। আসলে টাকা আসছে অন্য উপায়ে।”
কিন্তু মালদহর সীমান্তে একটা বাড়ি ১২ লক্ষ টাকায় কিনছেন কীভাবে? টাকা আসছে কোথা থেকে? তারও ব্যাখ্যা দিলেন তিনি। একটা বাড়ির দাম বাংলাদেশে ১০ লক্ষ টাকা হলে, ওই বাংলাদেশি পাঁচ লক্ষ টাকা অগ্রিম নিচ্ছেন দশ জনের কাছে। তাহলে তাঁর কাছে জমছে ৫০ লক্ষ টাকা। কিন্তু তিনি কাউকেই সেখানে রেজিস্ট্রি দিচ্ছেন না। ভারতে চলে আসার আগে রেজিস্ট্রি দেবেন বলে আশ্বস্ত করছেন। এরপর একদিন হঠাৎ করে পালিয়ে আসছেন ভারতে। কাউকে রেজিস্ট্রি তিনি দিলেন না। ফলে ৫০ লক্ষ টাকা তাঁর জমল। আর সে জন্যই ২ লক্ষের বাড়ি ১০ লক্ষে কিনতে পারছেন এখানে। আইনজীবী জানান, বাংলাদেশ থেকে যাঁরা আসছেন, তাঁদের হাতেই টাকা বেশি। তাঁরাই প্রচুর উন্নতি করেছেন। তুলনামূলকভাবে এখানকার ব্যবসায়ীরা করে উঠতে পারছে না।
কিন্তু বাংলাদেশ থেকেও বা টাকা কীভাবে আসছে? আইনজীবী বলেন, “টাকা আসছে হণ্ডির মাধ্যমে। সেটা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, সরকারও জানে। কিন্তু বন্ধ করতে পদক্ষেপ করছে না। ধরুন কোনও একটা টাকার নোটের নম্বর দিয়ে দিল, বাংলাদেশেও একজনকে টাকার নোটের নম্বরটা দিয়ে দিল, বিভিন্ন এজেন্ট এখানে রয়েছে, মালদহ, মুর্শিদাবাদে। তাঁরা টাকা আদানপ্রদান হয়। লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকা আদানপ্রদান হয়। আমার ইনকাম ট্যাক্স অফিসের পিছনেই রুই দাস নামে একজন ব্যক্তি রয়েছেন। একদিন ধাক্কা লাগে, তার বাক্স খুলে যায়। লক্ষ লক্ষ টাকা। চালের দোকান খুলে বসে রয়েছে। কিন্তু পিছনে হুণ্ডির কাজ করেন।”
ভারতের এক ব্যবসায়ী ফিরোজ বলেন, “বাংলাদেশ থেকে ঢুকে পড়েছে অনুপ্রবেশকারীরা। সিমির সঙ্গে যোগাযোগ চলছে। কিছু কিছু মুসলিম শেল্টার দিচ্ছে। সরকারের উচিত নজর দেওয়া। আমরা তো ভারতবর্ষের মুসলিম, যদি আমাদের বলা হয়, বাংলাদেশকে দখল করতে হবে, তাহলে আমরা বাংলার লোক এক ঘণ্টাও সময় নেব না।” কিছুটা হেয়ালি করেই তিনি বললেন, “শুধুমাত্র মালদহ জেলার মুসলমানরাই গোটা বাংলাদেশকে মানচিত্র থেকে মুছে দিতে পারে।”