Awas Yojana: আবাস যোজনার তালিকায় এ কার নাম? তদন্ত করতেই চক্ষু চড়কগাছ কেন্দ্রীয় দলের
Malda: মঙ্গলবার মালদার রতুয়া ১ নম্বর ব্লকে পৌঁছেছেন কেন্দ্রীয় দল। এই এলাকারই মহানন্দা টোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবিন্দপুর গ্রামের ঠিক পাশেই, বিহারের দুর্গাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাহারশাল গোবিন্দপুর গ্রাম অবস্থিত। সেখান থেকেই উঠেছে এসেছে এহেন অভিযোগ।
মালদা: আবাস যোজনা (Awas yojana) নিয়ে এ রাজ্যে বিতর্ক তুঙ্গে। যাঁরা যোগ্য তাঁরা বাড়ি পাননি, অথচ অযোগ্যরা বাড়ি পেয়েছেন এমন গুচ্ছ-গুচ্ছ অভিযোগ উঠে এসেছিল। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে এসেছেন কেন্দ্রীয় দল (Central Team)। সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। আর মালদায় (Malda) পৌঁছতেই কার্যত চক্ষু ছানাবড়া তাঁদের। কারণ বাংলা আবাস যোজনার তালিকায় নাম জ্বলজ্বল করছে বিহারের পঞ্চায়েত সদস্যের।
মঙ্গলবার মালদার রতুয়া ১ নম্বর ব্লকে পৌঁছেছেন কেন্দ্রীয় দল। এই এলাকারই মহানন্দা টোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবিন্দপুর গ্রামের ঠিক পাশেই, বিহারের দুর্গাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাহারশাল গোবিন্দপুর গ্রাম অবস্থিত। সেখান থেকেই উঠেছে এসেছে এহেন অভিযোগ। জানা গিয়েছে, সংশ্লিষ্ট এই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সদস্য শ্যাম যাদবের নাম প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাংলার তালিকায় উঠেছে। শ্যামবাবুর বাড়ি বিহারের কাঠিহার জেলার গোবিন্দপুরে। তাঁরই নাম বাংলার আবাস যোজনার তালিকায়। এমনকী তাঁর ভোটার কার্ডও বিহারের। তাই দেখে কার্যত চক্ষু চড়ক গাছ আবাস যোজনার তদন্তে আসা প্রতিনিধি দলের।
এ দিকে, কেন্দ্রের সদস্যরা আসছে, এই খবর শুনে কার্যত শ্যাম যাদব এলাকা থেকে সরে গিয়েছেন ইতিমধ্যে। তবে ওই পঞ্চায়েত সদস্যের মা স্বীকার করে নিলেন তাঁরা বিহারের বাসিন্দা। তাঁর ছেলের নাম আছে বাংলার আবাস যোজনার তালিকায়। শ্যাম যাদবের মা নিভাদেবী বলেন, “আমার ছেলের নাম রয়েছে আবাস যোজনার তালিকায়। আমরা বিহারের বাসিন্দা। জানি না কীভাবে নাম এসেছে। শুনেছি ঘর পাব।”
মঙ্গলবার থেকেই রতুয়ায় ঘরছেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। প্রথমে রতুয়া বিডিও অফিসে বৈঠক করেন তাঁরা। এরপর বিডিও রাকেশ টোপ্পোকে সঙ্গে নিয়ে মহানন্দাটোলার গোবিন্দপুর গ্রামে পরিদর্শনে যান। প্রায় ৩০টি বাড়ি পরিদর্শন করে দেখেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। এই বিষয়ে জেলাশাসক বলেন, “ওই এলাকায় যে এলাকার ২৭টি নাম ২০১৭-২০১৮ সালে তালিকাভুক্ত হয়। পরে নামগুলি ডিলিট করা হয়েছে। এই অসুবিধার কারণ পুলহার নদী। এই নদীটি বিহার বাংলার বর্ডারে রয়েছে। এবার প্রায়শই গতিপথ পরিবর্তন করে। সেই কারণে মানুষগুলো নদীর গতিপথ অনুযায়ী বাসস্থান বদলাতে শুরু করে। আর সেই কারণে হয়ত তখনও ওরা বাংলায় ছিল। এখন বসতি পরিবর্তন করে বিহারে গেছে। তখনই হয়ত তাঁদের নাম এসেছে।”