Malda School: সম্প্রীতির ছবি! ভাইরাল হয়েছিল এই দুই শিশু, এবার তাদেরই স্কুলের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ, কেন জানেন?
Malda: জানা যাচ্ছে, স্কুলের যে শিক্ষক এই ছবি তুলে পোস্ট করেছেন, তাঁকে ও সহকারী স্কুল শিক্ষকের কাছ থেকে জবাব চাওয়া হবে। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট স্কুলের সার্কেল ইন্সপেক্টরকে দ্রুত তদন্ত করে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।

মালদহ: একজন হিন্দু। অন্যজন মুসলমান। এই দুই ছোট-ছোট খুদে পড়ুয়া স্কুলের মিড ডে মিলের ভাত খাচ্ছে একই থালায়। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে এই ছবি এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। তা নিয়ে কত শেয়ার, কত কমেন্ট। কিন্তু জানেন এই খুদেদের স্কুলের বিরুদ্ধেই এবার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষাদফতর।
কেন এই নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা-দফতর?
শিশুদের যে ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, সেটি মালদহের মোথাবাড়ির পঞ্চানন্দপুরের ওলিটোলা প্রাথমিক স্কুলের। ছবিটি পোস্ট করেছেন ওই স্কুলের এক শিক্ষক। আর তারপরই এত হইচই। তবে স্কুল শিক্ষাদফতরের প্রশ্ন, এই ভাবে কি দুই শিশুর ছবি এভাবে ভাইরাল করা যায়? তার থেকেও বড় কথা, কেন তাদের এভাবে একটি থালা দেওয়া হয়েছে ভাত খাওয়ার জন্য। একই থালায় এভাবে দু’জন শিশুর খাওয়া অবৈজ্ঞানিক। তাদের শরীর অসুস্থ হতে পারত। শুধুমাত্র সম্প্রীতির চিত্র তুলে ধরতে এই কাজ করা মোটেই সমীচীন নয় বলে মনে করেছে শিক্ষাদফতর। সেই কারণেই এই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, স্কুলের যে শিক্ষক এই ছবি তুলে পোস্ট করেছেন, তাঁকে ও সহকারী স্কুল শিক্ষকের কাছ থেকে জবাব চাওয়া হবে। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট স্কুলের সার্কেল ইন্সপেক্টরকে (SI) দ্রুত তদন্ত করে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে শিক্ষক রবিউল ইসলাম বলেন, “আমার ভিডিয়োটিই ভাইরাল হয়। ওরা দেখি একই থালায় খাচ্ছে। সেটা দেখে আমি আপ্লুত হয়। আসলে সম্প্রতি মোথাবাড়িতে যে ঘটনা ঘটেছে, সেখানে অবোধ দুই শিশু আমাদের বার্তা দিল ধর্ম দিয়ে আমাদের পেট চলে না। তাই এই শিশুদের থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত যে হিন্দু-মুসলিমের এই বিভেদ কে করাচ্ছে। সম্প্রীতির বার্তা দিতেই এই ভিডিয়ো করা হয়েছে।”। মালদহে ডিআই মলয় মণ্ডল বলেন, “আমি এসআই-এর থেকে খবর পেলাম। আমরা তদন্ত করছি। কিন্তু এই ভিডিয়ো তৈরি হল, উদ্দেশ্য কী ছিল তা জানব। আমাদের মিড-ডে মিলের থালার অভাব নেই। কারণ দুটি শিশু একই থালায় খাচ্ছে এটা অস্বাস্থ্যকর। আমার ভাতৃত্বের বার্তা দিতেও এটা ব্যবহার হতে পারে। কিন্তু এত ছোট বাচ্চা, যাদের এই সম্প্রীতির বোধ নেই তাদের দিয়ে এমনটা করানো উচিত হয়নি।” ও প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান বাসন্তী বর্মণ বলেন, “SI-র কাছ থেকে খোঁজ নেব। কেন হল এটা? এমন কাজের আগে অভিভাবকদের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া দরকার ছিল।”





