CPIM: তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখলেই বহিষ্কার, হুঁশিয়ারি সেলিমের
CPIM: হাতে আর মাত্র ক’টা দিন। বেজে গিয়েছে লোকসভা ভোটের দামামা। তৃণমূলের সঙ্গে সিপিএমের ইন্ডিয়া জোটে থাকা নিয়ে জটের জাল ক্রমশ বেড়েই যাচ্ছে। কখনও মমতার বিরুদ্ধে আক্রমণ আসছে বাম শিবির থেকে।
মালদহ: কয়েকদিন আগেই কোচবিহারে বড়সড় ভাঙন দেখা গিয়েছিল সিপিএমের (CPIM) ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ে (SFI)। বহিষ্কার হতে না হতেই রাতারাতি তৃণমূলে যোগ দিতে দেখা গিয়েছিল এসএফআইয়ের সদ্য প্রাক্তন কোচবিহার জেলা সভাপতি কৌশিক ঘোষ। যদিও বামেদের অভিযোগ, দল বিরোধী কাজ করছিলেন কৌশিক। বিরোধী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণেই তাঁকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। এবার ফের স্পষ্ট হুঁশিয়ারি সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের। সাফ বলে দিলেন, তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখলে সেই নেতাকে আমরা বহিষ্কার করব। তাঁর এই হুঁশিয়ারির পরেই ফের তা নিয়ে জোর শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
প্রসঙ্গত, হাতে আর মাত্র ক’টা দিন। বেজে গিয়েছে লোকসভা ভোটের দামামা। তৃণমূলের সঙ্গে সিপিএমের ইন্ডিয়া জোটে থাকা নিয়ে জটের জাল ক্রমশ বেড়েই যাচ্ছে। কখনও মমতার বিরুদ্ধে আক্রমণ আসছে বাম শিবির থেকে। আবার কখনও বামেদের পাল্টা দুষছেন তৃণমূল নেতারা। এই প্রেক্ষাপটে সেলিমের এ মন্তব্য বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মত রাজনীতির কারবারিদের একটা বড় অংশের।
প্রসঙ্গত, একদিন আগেই একই মঞ্চে দেখা গিয়েছিল বাম-তৃণমূলকে। মালদহ শহরে নেতাজিকে একইসঙ্গে শ্রদ্ধা জানাতে দেখা গিয়েছিল সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী, তৃণমূল নেতা কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরীকে। মঙ্গলবার ইংরেজবাজার পৌরসভার উদ্যোগে নেতাজি মোড়ে অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়েছিল। সুজন-কৃষ্ণেন্দুকে এক মঞ্চে দেখা যাওয়ায় তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাপানউতর বাড়ছিল। যদিও সেলিমের দাবি, নেতাজিকে নিয়ে কোনও রাজনীতি হচ্ছে না। ওটা পৌরসভার অনুষ্ঠান।