মালাদা: জমি দখল ঘিরে চরম উত্তেজনা মালদায়। ঘটনায় উভয়পক্ষের জখম চারজন। মালদার (Malda) চাঁচল থানার চন্দ্রপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কল্কি মোড়ের ঘটনা। আহত চারজনকেই চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্তরা।চাঁচল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদার চাঁচলের চন্দ্র পাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কল্কি মোড়ের বাসিন্দা আবেদ আলি। তার ভাগে পাওয়া বসতভিটে মাটি ছেলে বাড়ি করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই কথা তার ভাইদেরকে জানালে বড় ভাই দিল মোহাম্মদের ছেলেরা তাতে বাধা দেয়। এরপর এই নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির শুরু হয়। কথা কাটাকাটির পর বিবাদ চরমে ওঠে, সে সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আবেদ আলির ছেলে বেলালের উপর হামলা চালায় দিল মোহাম্মদের ছেলে ইমরান, দাউদ হুমায়ুনরা বলে অভিযোগ। দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় সংঘর্ষ।
ঘটনায় আহত হয় উভয় পক্ষের চারজন। তড়িঘড়ি চারজনকে প্রথমে মালতিপুর গ্রামীণ হাসপাতাল পরে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে সেখানেই চারজন ভর্তি রয়েছে। গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন বেলাল আলি। এই ঘটনার পর চাঁচল থানায় অভিযুক্ত ইমরান, দাউদ হুমায়ুনদের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আবেদ আলির পরিবার। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্তরা অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এক প্রতিবেশী বলেন, “আবেদ আলির সঙ্গে দিল মোহাম্মদের বিবাদ বাস্তু ভিটে নিয়ে। আবেদ আলি নিজের অংশের জমি মাপতে থাকে। আর অপর পক্ষ বলে আবেদ জমি পাবে না। এরপরই গন্ডগোল শুরু হয়। অনেক বুঝিয়েছি। কিন্তু শোনেইনি। সেই ঝামেলা হল। লাঠিসোটা নিয়ে মারধর শুরু হয়। গুরুতর জখম চার জন।একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমরা চাই এর ন্যায্য বিচার হোক।”
প্রসঙ্গত, এদিকে কিছুদিন আগেই জলপাইগুড়িতে জমি দখল নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মারামারি, বাড়িতে অগ্নিসংযোগ হয়। এই ঘটনায় মৃত ১। সংঘর্ষের জেরে মৃত্যু হয়েছে বছর পঞ্চাশের এক ব্যক্তির। জখম হয়েছেন অন্তত সাত জন। সংঘর্ষে উস্কানি দেওয়ার বিস্ফোরক অভিযোগ ওঠে গরাল বাড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের উপপ্রধানের শাহজাহান আলমের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সকাল থেকে ঘটনাস্থলে নামানো হয়েছে র্যাফ সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে ১ রাউন্ড টিয়ার গ্যাসের শেল ফাটাতে হয়েছে।