Malda: ব্রিজের নীচে পাইপের মধ্যে কাপড় জড়ানো অবস্থায় শিশুর দেহ উদ্ধার
Malda: পাইপের সঙ্গে সদ্যজাত শিশুর মৃতদেহ জড়ানো অবস্থায় ছিল। শিশুকে দেখতে ভিড় জমে যায়। ব্রিজে যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ইংরেজবাজার থানার পুলিশ এবং। মৃত সদ্যোজাত শিশুটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।

মালদহ: ব্রিজের নীচে পাইপের মধ্যে কাপড়ে জড়ানো অবস্থায় পড়েছিল কিছু একটা। পথ চলতি মানুষের নজরে পড়েছিল সেটা। কিন্তু প্রথমে তাতে বিশেষ কেউ আমল দেননি। পরে যখন ওই কাপড়ের ওপর দিয়ে মাছি ভনভন করছিল, তাতেই সন্দেহ হয় বাসিন্দাদের। কিছু সন্দেহ হওয়ায় এলাকার বাসিন্দারা থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। পুলিশ গিয়ে কাপড় জড়ানো অবস্থায় শিশুর দেহ উদ্ধার করে। মালদহের নিয়ন্ত্রিত বাজারের সামনে ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়কের ব্রিজের নীচ থেকে দেহ উদ্ধার হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, পাইপের সঙ্গে সদ্যোজাত শিশুর মৃতদেহ জড়ানো অবস্থায় ছিল। শিশুকে দেখতে ভিড় জমে যায়। ব্রিজে যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ইংরেজবাজার থানার পুলিশ এবং। মৃত সদ্যোজাত শিশুটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
এলাকায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।স্থানীয়দের অভিযোগ, এই এলাকায় বহু নার্সিং হোম আছে। মাঝেমধ্যেই এই ধরনের ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, এই ধরনের নার্সিংহোমে অবৈধ উপায়ে গর্ভপাত করানো হয়। সেক্ষেত্রে এলাকায় পরিত্যক্ত জায়গা থেকে এর আগেও ভ্রূণ উদ্ধার হয়েছে। ওই নার্সিংহোমগুলোর আদৌ লাইসেন্স রয়েছে কিনা, তা খতিয়েও দেখারও দাবি জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। আজও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের অনুমান, জলে ফেলতে গিয়েছিল সদ্যোজাতকে। সেটা কোনওভাবে ভেসে না গিয়ে ব্রিজের পাইপে আটকে যায়। পুলিশ এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।
