Malda: এক কাপ চায়েই লুকিয়ে রহস্য! তৃণমূল কর্মীর বাড়ির উল্টোদিকে বিজেপির পার্টি অফিস, এক ভোরে চুরি গেল বউ
Malda: স্ত্রীর বিশ্বাসঘাতকতা মানতে পারছেন না স্বামী। নালিশ তৃণমূল নেতৃত্বকে। বাড়ির কাছেই বিজেপির পার্টি অফিস। সেই পার্টি অফিস থেকে প্রেমের সূত্রপাত। এবার তৃণমূল কর্মীর স্ত্রীকে নিয়ে পালালেন বিজেপি নেতা। বাড়িতে রয়েছে ছোট দুই সন্তান। অন্যদিকে ওই বিজেপি নেতাও বিবাহিত।

মালদহ: বাড়ির উল্টো দিকে বিজেপির দলীয় কার্যালয়। সেই কার্যালয়ে দিনরাত বসে থাকতেন মাঝবয়সী ভদ্রলোক! তাঁকে মাঝেমধ্যে চা খাওয়াতেন বাড়ির বউ। স্বামী এদিকে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। তবুও রাজনৈতিক সম্পর্কের উর্ধ্বে উঠে বিজেপি নেতাকে চা খাওয়ানো স্ত্রীর সৌজন্যবোধ হিসাবেই মেনে নিয়েছিলেন স্বামী। কিন্তু সেই চা খাওয়ানোর ফাঁকেই যে স্ত্রী চোখে চোখে কথা বলে রেখেছিলেন বিজেপি নেতার সঙ্গে, তা ঘুনাক্ষরেও আঁচ করতে পারেননি স্বামী। হঠাৎই একদিন বাড়ি থেকে গায়েব স্ত্রী। আর অদ্ভুতভাবে সেদিন থেকে পার্টি অফিসে আসছেন না ওই বিজেপি নেতাও খোঁজ খবর নিয়ে স্বামী জানতে পারেন, ওই বিজেপি কর্মীর হাত ধরেই পালিয়েছেন স্ত্রী! শোরগোল মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে কৈলাশনগর এলাকায়।
স্ত্রীর বিশ্বাসঘাতকতা মানতে পারছেন না স্বামী। নালিশ তৃণমূল নেতৃত্বকে। বাড়ির কাছেই বিজেপির পার্টি অফিস। সেই পার্টি অফিস থেকে প্রেমের সূত্রপাত। এবার তৃণমূল কর্মীর স্ত্রীকে নিয়ে পালালেন বিজেপি নেতা। বাড়িতে রয়েছে ছোট দুই সন্তান। অন্যদিকে ওই বিজেপি নেতাও বিবাহিত। তাঁদের বিবাহ বহির্ভূত এই সম্পর্কের জেরে বিপাকে দুই পরিবার।
মেয়ের কীর্তি বিশ্বাস করতে পারছেন না মা। সমগ্র ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকাতে শোরগোল। স্থানীয় গৃহবধূ শিউলি রায় কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। তাঁর স্বামী জিতেন রায় পেশায় টোটো চালক। জিতেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানাতে নিখোঁজের একটি অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু পরবর্তীতে জানতে পারছেন তাঁর স্ত্রী পিপলার বাসিন্দা বিজেপি নেতা জীবন দাসের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছেন। যা শুনে হতবাক তিনি।
বিশ্বাস করে উঠতে পারছেন না স্ত্রীর এই বিশ্বাসঘাতকতা। ফেসবুকেই জিতেনের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল শিউলির। পরিচয়ের পর প্রেম। তারপর বিয়ে। ছোট দুই ছেলে মেয়ে রয়েছে বাড়িতে। তারপরেও তার স্ত্রী কীভাবে এই কাজ করলেন! ভাবতেই পারছেন না পরিবারের সদস্যরা। এদিকে এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও চরম বিতর্ক। শিউলির স্বামী বলেন, “আমি তো কোনওদিনই বুঝতে পারিনি। যে রকম সকালে কাজে যাই, সেরকম গেছিলাম। হঠাৎ বাড়ি ফিরে দেখি ও নেই। খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম, জীবন দাসের সঙ্গে পালিয়েছে।” জীবনের মা বলেন, “আমিও শুনেছি এরকম কথা। তবে আমার ছেলেও বিবাহিত। ও ওই বউকে নিয়ে পালিয়েছে কিনা বুঝতে পারছি না।”

