মালদা: লাগাতার আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে আঘাত সিভিক ভলেন্টিয়ারের মাথায়। ব্যাঙ্ক লুঠ ও ছিনতাইয়ের বাধা দেওয়ার কারণে ওই সিভিক পুলিশকে খুনের চেষ্টা করা হয়েছে বলে খবর। ঘটনায় আহত সিভিক পুলিশ বর্তমানে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মালদার কালিয়াচক থানার নওদা যদুপুর এলাকার ঘটনা। জখম পুলিশের নাম শহিদুর রহমান(৩০)। শহিদুরের বাড়ি কালিয়াচক থানার কাশিমনগর মণ্ডল পাড়ায়। তাঁর কথা অনুযায়ী, ডিউটি করার সময় সে দেখতে পায় একদল দুষ্কৃতী একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে লুঠ ও ছিনতাইয়ের চেষ্টা করছে। সেই সময় তাদেরকে বাধা দিতে যায় ওই সিভিক পুলিশ। তখনই মারধর করা হয় আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে। সঙ্গে ধারাল অস্ত্র দিয়ে বেধড়ক কোপানোর চেষ্টা করা হয় তাকে। ওই সিভিক পুলিশ বলেন, “আমি একাই তখন ডিউটি করছিলাম। হঠাৎ দেখি কয়েকজন দুষ্কৃতী এসে ব্যাঙ্ক লুঠ করার চেষ্টা করে। সেই সময় আমি তাদের বাধা দিই। আটকানোর চেষ্টা করি। কিন্তু আমার উপরই তেড়েফুঁড়ে আসে ওরা। তারপর আমার মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে লাগাতার আঘাত করতে শুরু করে। এরপর আমি চিৎকার করতেই এলাকাবাসী ছুটে আসে ওই এলাকায়। এবার অনেক মানুষজনকে দেখে ওরা পালিয়ে যায়। মাথা ফেটে গিয়েছে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করেই আমাকে মালদা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করে।”
এবার এই চিৎকারে স্থানীয়রা এলাকায় ছুটে আসতেই আহত ওই সিভিক পুলিশকে সেখানেই ফেলে রেখে পালায় দুষ্কৃতীরা। এলাকাবাসী তাঁকে উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করে।গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কালিয়াচক থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: Bagtui Massacre Live Update: বগটুই যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী, আজই হাইকোর্টে জমা পড়বে সিটের রিপোর্ট